আগেই মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতা বীরাপ্পা মইলি। এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে সরানোর দাবি উঠল। একুশের নির্বাচনে দলের ভরাডুবি নিয়ে চলছে মূল্যায়ন। আর সেখানেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের একাধিক নেতা দাবি করেছেন, অধীরকে যাতে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তাঁদের দাবি, দিল্লিতে বসে রাজ্যের দল চালানো সম্ভব নয়। আর প্রদেশ কংগ্রেসের সাংগঠনিক স্তরেও বড় রদবদল প্রয়োজন। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান অশোক চৌহান, সলমন খুরশিদ ও মণীশ তিওয়ারিকে জানান রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী এবার সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে? যদিও সবাই মৌনতা অবলম্বন করেছেন।
মার্চ মাসে লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতার পদ থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে সরিয়ে দেয় কংগ্রেস৷ তাঁর জায়গায় অন্তর্বর্তী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঞ্জাবের সাংসদ রভনীত সিং বিট্টুকে৷ তন অবশ্য দলের তরফে সাফাই দেওয়া হয়, বাংলার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত অধীর। তাই তাঁকে এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বাংলার নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। একটিও আসন পায়নি কংগ্রেস। বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এমনটা প্রথম। বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় নেতা অশোক চৌহানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করে, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি’র সঙ্গে জোটই ভরাডুবির কারণ।
বিঘানসবা নির্বাচনের আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন মিত্র। তিনি অভিযোগ করেন, কলকাতায় সাংগঠনিক স্তরে একেবারেই নজর দেন না অধীর। সাংগঠনিক স্তরেও রদবদলের প্রয়োজন রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। প্রশ্ন তোলা হয় অধীরের সাংগঠনিক নেতৃত্ব নিয়েও। তাঁকে সরিয়ে বিকল্প মুখের কথা আগে থেকেই ভাবছিল হাইকম্যান্ড।