দেশ ব্রেকিং নিউজ

লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা কে?‌

এক পদ এক ব্যক্তি নীতি মেনে কি কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতার পদ হারাতে চলেছেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী? সূত্রের খবর, লোকসভার বাদল অধিবেশনেই নতুন দলনেতা নির্বাচিত করা হতে পারে। কারণ অধীর এখন একইসঙ্গে প্রদেশ সভাপতি ও লোকসভার দলনেতা। অধীর চৌধুরীকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর উপর চাপ বাড়াচ্ছেন বেশ কয়েকজন নেতা। যদিও সোনিয়া নিজে এই ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।

সূত্রের খবর, বুধবার অধীর চৌধুরীর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূ্র্ণ বৈঠক করতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী। সম্ভবত ভার্চুয়ালি হবে সেই বৈঠক। ১৯ জুলাই থেকে শুরু হতে চলা বাদল অধিবেশনের আগে সেই বৈঠককে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের পর কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের একাংশের মধ্যেও একটা চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়। গত বছর যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কংগ্রেস হাইকমান্ডকে লিখিত আকারে সেই ক্ষোভের কথা জানান বিক্ষুব্ধ শীর্ষ নেতারা।

১৪ জুলাই সংসদীয় কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তিনি। সেখানে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে। অধীরকে সরিয়ে দিলে ওই পদে কে বসবেন? প্রাথমিকভাবে দলের নেতাদের পছন্দ রাহুল গান্ধী। কিন্তু রাহুল নিজে ওই পদে বসতে রাজি নন। বিকল্প হিসেবে নাম উঠে আসছে আরও কয়েকজনের। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম শশী থারুর ও মণীশ তিওয়ারি। এরা দু’জনেই কংগ্রেসের অন্দরে বিদ্রোহী বলে পরিচিত ‘জি-২৩ গ্রুপে’র সদস্য। এছাড়া যাঁদের নাম ভেসে আসছে তাঁরা হলেন অসমের তরুণ সাংসদ গৌরব গগৈ, রবনীত সিং বিট্টু ও উত্তরকুমার রেড্ডি।

এদের মধ্যে শশী থারুর ও মণীশ তিওয়ারি, সেই সমস্ত বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যে পড়েন, যাঁরা হাইকমান্ডকে বিস্ফোরক চিঠি লিখেছিলেন। দলীয় সংগঠনে বড় ধনের রদবদলের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তাঁরা। তবে যিনিই হবেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা, তাঁকে বেছে নেবেন হাই কমান্ড খোদ। অধীরকে ওই পদ থেকে সরানোর কারণ নিয়ে নানান মহলে, শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।