মূলত দুই বছরের নিচে শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধছে অ্যাডিনোভাইরাস। শ্বাসনালিতে সংক্রমণ হচ্ছে। ফলে জ্বর, সর্দি, কাশি তো আছেই, সেই সঙ্গে প্রবল শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। অবস্থা এমনই জেলা হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে শিশুদের ভিড়। কলকাতার হাসপাতালগুলিতেও ঠাঁইনাড়া অবস্থা। চিকিৎসকদের দাবি, কোভিডের কারণে ঘরবন্দি শিশুরা দীর্ঘ সময়ে মেলামেশা থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমেছে তাদের। ফলে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি থেকেই অ্যাডিনোভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাধারণত অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দুই থেকে সাত দিনের মধ্যে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। বায়ুবাহিত এই ভাইরাস চোখ, অন্ত্র, মুত্রনালী ও শ্বাসনালীর ক্ষতি করে। উপসর্গগুলি হল জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও মুত্রের সমস্যা। ফলে শিশুদের জ্বর ও সর্দি-কাশি হলেই আর দেরি না করে চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিৎ। তবে চিকিৎসকদের একাংশ অত্যাধিক অ্যান্টি বায়োটিকের ব্যবহার এর জন্য দায়ি করছেন।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি থাকা শিশুরোগীদের মধ্যে শতকরা ৯০ জনেরই শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। যাদের অধিকাংশই ভাইরাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ফলে ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে শিশুদের। এর জেরেই অধিকাংশ হাসপাতালের শিশু বিভাগে বেডের আকাল। আইসিউ, এসএনসিউ বিভাগেও জায়গা নেই। সাধারণ বেডে দুই-তিনজন করে ভর্তি করতে হচ্ছে। কলকাতায় আরজি কর, এনআরএস-সহ কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও বিসি রায় শিশু হাসপাতালেও ৯০ শতাংশ শিশু জ্বর সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি। গোটা বিষয়ের দিকে নজর রেখেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।