রাজ্য লিড নিউজ

গরমে দাপট কমবে অ্যাডিনো ভাইরাসের

স্বস্তির খবর শোনাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। গরম পড়তে শুরু করলে ধীরে ধীরে কমবে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট,এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে,আগের থেকে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। শুধুমাত্র অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণে যে শিশু মৃত্যু হচ্ছে,তা একেবারেই নয়। বর্তমানে একাধিক ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। তার মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসও আছে। শিশুদের স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রতিটি হাসপাতালকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’ চিকিৎসার জন্য রাজ্যের ১২১টি হাসপাতালে পাঁচ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে ৬০০ জন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ থাকছেন। ওপিডিতেও একজন শিশুরোগ চিকিৎসক থাকবেন। ২৪৭৫টি ‘সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট’, ৬৫৪টি পিআইসিইউ বেড ও ১২০টি এনআইসিইউ বেড তৈরি রাখা হয়েছে। যদিও বাচ্চাদের জ্বর,সর্দি-কাশি,নিউমোনিয়ার জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জার উপ-প্রজাতি এইচ থ্রি এন২ ভাইরাসকে দায়ী করেছে বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে, নিত্যদিনই জেলার নানাপ্রান্ত থেকে মিলছে শিশু মৃত্যুর খবর। জ্বর,সর্দি-কাশি,নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে বাচ্চারা ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। শনিবার রাত থেকে এখনও পর্যন্ত ফের তিন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রবিবার সকালেই বিসি রায় হাসপাতালে জ্বরে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গত বুধবারই বনগাঁর চার মাসের এক শিশু জ্বর-সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। রবিবার ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন,নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। অন্যদিকে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিসি রায় হাসপাতালের এইচডিইউ-তে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দেড় বছরের এক শিশু ভর্তি হয়। রবিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।