রাজ্য লিড নিউজ

পুরনিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে রেশন দুর্নীতির যোগ? কৈখালি থেকে দুবাই, বাকিবুরের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই যেন ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। পুরনিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের যোগসূত্র থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেই সূত্র ধরেই বাকিবুর রহমানের পাঁচটি চালকল এবং আটাকলের খোঁজ মেলে। এরপরই বাকিবুরের বাগুইআটি কৈখালির আবাসনে ৫৪ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর অবশেষে রেশন দুর্নীতিতে আটক করা হয় বাকিবুর রহমানকে।

ইতিমধ্যেই বাকিবুরের বিভিন্ন ব্যবসা এবং বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ইডি। কলকাতা থেকে শুরু করে বেঙ্গালুরুতে বাকিবুরের রয়েছে একাধিক রেস্তোরাঁ, পানশালা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুরের দুবাইতে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাটগুলির দাম সাত থেকে আট কোটি টাকা। সেই ফ্ল্যাটের জন্য বেশিরভাগ টাকা দুবাইতে পাঠানো হয়েছিল। বাকি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল।

তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, রেশন সামগ্রী বিক্রির গোটা কারবার চেন সিস্টেমে চলত। এমনকী দুবাইতে ফ্ল্যাট কেনার প্রায় ১৪ কোটি টাকা এদেশ থেকেই পাঠিয়েছিলেন বাকিবুর। ওই ১৪ কোটি টাকার উৎস কী? কোথা থেকে এত টাকা পেয়েছিলেন বাকিবুর? নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই কি কাজে লাগিয়েছিল? দুবাইতে কি পালিয়ে যাওয়ার ছকও কষেছিলেন বাকিবুর?

এসব প্রশ্নের উত্তর জানতেই পুজোর মুখে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরে বাকিবুরের সঙ্গীরাও রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বাকিবুরের সঙ্গীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারীরা। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে।