একের পর এক মৃত্যুর খবর টলিপাড়ায়। পল্লবী এবং বিদিশার পর আবারও এক অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। মৃত অভিনেত্রীর নাম মঞ্জুষা নিয়োগী। শুক্রবার সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মঞ্জুষা, বিদিশার মৃত্যুর পর আরো ভেঙে পড়েন তিনি,দাবি পরিবারের।
শুক্রবার সকালে পাটুলির ফ্ল্যাট থেকে মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ মঞ্জুষাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মডেল-অভিনেত্রী৷ শুধু মানসিক অবসাদ নাকি পেশাগত কারণে মৃত্যু! মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিদিশার খুব কাছের বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা। ঠিক কী কারণে মৃত্যু হল মডেল বিদিশা দে মজুমদারের? কেরিয়ারে ভাটা নাকি সম্পর্কের টানাপোড়েন? অবসাদেই কি আত্মঘাতী বিদিশা? এ সব প্রশ্নের এখনও উত্তর মেলেনি। তার মধ্যেই কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিল মঞ্জুষা। মেয়ের এই মর্মান্তিক পরিণতিতে হতবাক পরিবারের সদস্যরা। মায়ের কান্না বাঁধ মানছে না। বিদিশার জন্য শোকেই কি মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল? তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না কেউ।
থিয়েটার অভিনেত্রী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন গড়িয়ার মেয়ে মঞ্জুষা। হরিমতী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে বায়োসায়েন্স নিয়ে ভর্তি হন মডেল-অভিনেত্রী। পাশাপাশি থিয়েটারে অভিনয় করতেন। মাস ছয়েক আগে বিয়েও হয় মঞ্জুষার। বিয়ের পরও নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ছোটপর্দায় ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান মঞ্জুষা। তবে মূলত মডেল হিসেবেই নিজের কেরিয়ারের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তার এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিপাড়ায়।