রামপুরহাটের বগটুই ঘটনার পর রাজ্যের সমস্ত থানার পুলিশ কর্মীদের এলাকায় অভিযান চালিয়ে বোম, পিস্তল, গুলি বারুদ উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ওই নির্দেশের পরেই বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের চাঁচল থানার পুলিশ গোপন সুত্রে খবর পেয়ে চাঁচলের পৃথক পৃথক দুটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুটি পাইপগান, দুটি কার্তুজ সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করে।
ধৃতদের শুক্রবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতদের নাম মারুপ আলি (৩০) বাড়ি চাঁচল ১ব্লকের মতিহারপুর পঞ্চায়েতের বাকিপুরে। অনুপ মালো (২০) বাড়ি চাঁচল পঞ্চায়েতের পাহাড়পুর এলাকায়। ধৃত দুজনকেই তাদের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে পুলিশ।ধৃতদের মধ্যে পাহাড়পুরের বাসিন্দা অনুপ মালোর বিরুদ্ধে এর আগে একটি ডাকাতি মামলায় চাঁচল থানায় নাম রয়েছে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন চেয়ে চাঁচোল মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জগদ্দল থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে শ্যামনগর নেহেরু মার্কেট এলাকার প্রভাতী সংঘ খেলার মাঠ থেকে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ওয়ান শাটার আগ্নেয়াস্ত্র একটি কার্টুজ। ধৃতদের মধ্যে বাপ্পা নস্কর, অভিজিৎ বিশ্বাস, সুকুমার দাস। এদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অপরাধমূলক কাজের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে জগদ্দল থানায়।ধৃতদের আজ পাঠানো হয় ব্যারাকপুর আদালতে।
হাসনাবাদ থানার মোহনপুর এলাকা থেকে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। আজাদ শেখ, রাহুল গাজী, রহমান গাজী এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি গুলিভর্তি বন্দুক ,লোহার রড, ভোজালি,ধারালো অস্ত্র, স্ক্রু-ড্রাইভার সহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র।ধৃতদের আজ বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
