দেশ ব্রেকিং নিউজ

পোস্টাল ব্যালটে কারচুপি রুখতে সক্রিয় কমিশন

নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতে ও পোস্টাল ব্যালটে কারচুপি রুখতে সক্রিয় কমিশন। ব্যালট পেপার দীর্ঘদিন না রেখে দিয়ে দ্রুত তা ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হলে কারচুপির পরিমাণ কম হবে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন করতে চায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই মর্মে কমিশনের তরফে সরকারের কাছে একটি সুপারিশ পত্রও পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে এ নিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটকর্মী, সরকারি কর্মী যাঁরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেন তাঁরা অনেক সময় দীর্ঘদিন নিজেদের কাছে ব্যালট পেপারটা রেখে দেন। অনেক সময় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেও নিয়ে যান বলে নানা জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে। তাঁরা ওই ব্যালট পেপার দেখিয়ে অন্যকে ভোট দানে প্রভাবিত করেন, এমনও শোনা গিয়েছে। তাই এই পদ্ধতির পরিবর্তন প্রয়োজন।

এজন্য ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধনও জরুরি। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করতে পারে সরকার। তাই এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। কমিশনের তরফে সুপারিশ করা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের সময় সারা দেশে কয়েক লক্ষ ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সেইসব ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যাঁরা কাজ করেন সেই সরকারি কর্মীরা বা নিরাপত্তাকর্মীরা নিজেরা গিয়ে ভোট দিতে পারেন না। প্রায় এক কোটি ভোটার নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন। এই ধরনের ভোটারদের মধ্যে রয়েছে পুলিশ কর্মী, পোলিং অফিসার এবং প্রিসাইডিং অফিসাররা যারা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত। তাঁদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা রয়েছে।

কমিশনের পক্ষে বলা হয়েছে, তাঁরা যেখানে ভোট গ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে যান, সেই সেন্টারগুলি থেকেই যেন পোস্টাল ব্যালট ইস্যুর সঙ্গে সঙ্গেই তা জমা করে দেন। দ্রুত ব্যালট পেপার ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হলে, তাতে কারচুপির পরিমাণ কম হবে।