ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

আপাতত হাজিরা দিতে হবে না অভিষেককে

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ভিত্তিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার হাজিরার নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। তবে, সিবিআই যতক্ষণে সেই নোটিস পাঠিয়েছিল, তার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই টুইটে সরব হয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অবশেষে মঙ্গলবার ফের অভিষেককে চিঠি দিয়ে সিবিআই জানাল যে, তাঁকে আপাতত হাজিরা দিতে হবে না। যদিও সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পরেও অভিষেককে কেন নোটিস পাঠান হল? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, এ ঘটনা নিয়ে সিবিআইয়ের সদর দফতরও বিরক্ত। তারা কলকাতা আঞ্চলিক অফিসের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছে।

উল্লেখ্য,নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবারই সমন পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আর সেই নিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সরব হয়েছিলেন। সিবিআইয়ের পাঠানো নোটিসটি টুইটারে পোস্ট করে বিজেপিকে তুলোধোনা করেন অভিষেক ।মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয় অভিষেককে। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় এজেন্সি, সেই প্রশ্ন ওঠে।

তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক টুইটারে লেখেন, “আমায় টার্গেট করে,হেনস্তা করার জন্যই এটা করা হয়েছে। সিবিআই আর ইডিকে দিয়ে বিজেপি যে আদালত অবমানমা করাচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। আজ ১টা ৪৫ মিনিটে আমার হাতে এই সমন ধরানো হয়েছে।” নোটিসের যে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে, তাতে তারিখের জায়গায় ১৬ এপ্রিল থাকলেও অভিষেক যে ১৭ এপ্রিল বেলা ১.৪৫ মিনিটে নোটিসটি হাতে পেয়েছেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।