ফের মেদিনীপুরে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এখানে তাঁর রোড–শো করার কথা। একইসঙ্গে এখান থেকে বার্তা দেবেন গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। নির্বাচনী প্রচারে আসবেন পশ্চিম মেদিনীপুরে অভিষেক। ঘাটালে রোড–শো করবেন তিনি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রোড–শো করবেন বলে সূত্রের খবর।
এখন দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন। জেলায় জেলায় পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প তুলে ধরার পাশাপাশি তোপ দাগছেন বিজেপির জনবিরোধী কাজকর্ম নিয়ে। এই নির্বাচনে তৃণমূল–বিজেপি যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘাটালের সাংসদ দেব এই রোড–শোয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী ঘাসফুল শিবির ত্যাগ করে পদ্মফুল শিবিরে যোগ দিতেই দুই মেদিনীপুর যেন প্রেস্টিজ ফাইটের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই মেদিনীপুরে সব আসন বিজেপি জিতবে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। পাল্টা তৃণমূল দাবি করেছে একুশের ভোটে জয় পাবে ঘাসফুলই।
এই পরিস্থিতিতে ফের শুভেন্দুর খাসতালুকে রোড–শো করতে যাচ্ছেন অভিষেক। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২৭ তারিখ মেদিনীপুরের মাটিতে তৃণমূলের এই রোড–শো থেকে অভিষেক কি বলেন সেটাও দেখার। কারণ ইতিমধ্যেই শুভেন্দু–অভিষেক দ্বৈরথে নয়া মাত্রা যোগ করেছে রবিবার কয়লাকাণ্ডে রুজিরা ব্যানার্জিকে সিবিআইয়ের নোটিস। উল্লেখ্য, ২৫ জানুয়ারি বারুইপুরের সভায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, লালার টাকা কার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দেখুন। প্রতি মাসে ৩৬ লাখ টাকা করে ঢুকেছে। থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকেছে।
পাল্টা জবাব দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘এখন আমাকে ছেড়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে পড়েছে। যদি সত্যিই আমার স্ত্রী দোষী হয়, তাহলে সিবিআই কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না?’ পাশাপাশি, অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে যাবেন বলেও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন তিনি। সেই চ্যালেঞ্জকেই রবিবার পাল্টা কটাক্ষে ফিরিয়ে দেন শুভেন্দু বলেন, ‘তোলাবাজ ভাইপো এখনই যেন ফাঁসির মঞ্চে না যান! আমি অনুরোধ করব। এখনও অনেককিছু দেখা বাকি আছে।’ এই সবকিছুর জবাব শুনতে তৈরি হচ্ছে ঘাটাল।