দেশ ব্রেকিং নিউজ

অভিষেকের গাড়ি ভাঙচুর, উত্তপ্ত ত্রিপুরা

ত্রিপুরা সফরের শুরুতেই বাধার মুখে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির থেকেই সফরের সূচনা করার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই একাধিক জায়গায় তাঁর কনভয় আটকানো হয়, পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান স্কুল পড়ুয়ারাও। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের সামনেও অভিষেকের নামে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। আগের দিন রাতে আগরতলার একাধিক জায়গায় তৃণমূলের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়।

তবে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতৃত্বকে তোপ দাগেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘‌দু–চার দিন আগে অতিথি দেব ভব’‌র কথা বলছে, সেই বক্তব্যের উদাহরণ পেলাম। ত্রিপুরার মানুষের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। বিজেপি নেতারা নয়াদিল্লি থেকে এসে বাংলার গণতন্ত্র নিয়ে গলা ফাটান। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র দেখুক আগে।’‌ আইপ্যাকের ২৩ জন কর্মীকে হোটেলে আটকে রাখার ঘটনা সামনে আসার পরই সরব হন তৃণমূল নেতৃত্ব। পড়শি রাজ্যে সোমবার সকালেই পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটকের মতো তৃণমূল নেতারা। আগরতলা থেকে তিনি সরাসরি উদয়পুকুরের ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যান।

মন্দিরে যাওয়ার পথেই একাধিক জায়গায় তাঁর কনভয় বাধার সামনে পড়েন। স্কুল পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ থাকলেও পড়ুয়ারা কী করে স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। লাঠি দিয়ে গাড়িতে মারা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাঁচ। এরপর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ট্যাগ করে ঘটনার ভিডিয়ো টুইট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘‌বিজেপির শাসনে ত্রিপুরার গণতন্ত্র! রাজ্যকে নয়া উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ বিপ্লব দেব।’‌
তৃণমূল সমর্থকরা জমায়েত করে “খেলা হবে” স্লোগান দেওয়া শুরু করেন, তেমনই বহু বিজেপি কর্মী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে “গো ব্যাক” স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। অভিযোগ, পতাকা লাগাতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও। যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ লাহাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। দেবাংশু ভট্টাচার্য জানান, ২০০ থেকে ২৫০ জন বিজেপি কর্মী তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।