ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

হাওড়ার ফোরশোর রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলমন্ত্রী

হাওড়ায় ফোরশোর রোডের ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বিধ্বংসী আগুন লাগে হাওড়ার ফোরশোর রোডের একটি প্ল্যাস্টিক কারখানা ও গুদামে। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হলেও এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরবেলা হঠাৎই হাওড়ার ফোরশোর রোডের একটি প্ল্যাস্টিক কারখানায় আগুন লাগে। সেখান থেকে কারখানা সংলগ্ন পর পর ৬টি কারখানা ও একটি গুদামে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। গুদামে কী মজুত করা ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ওই গুদামটিতে প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিকের জিনিস মজুত করা ছিল। ফলে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুনের লেলিহান শিখা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া দেখে আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে প্রথমে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন পৌঁছয়।

ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাওড়া এবং শিবপুর থানার পুলিশ। যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায় দমকল আধিকারিকরা। কিন্তু, দু’ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় পড়ে আরও ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। তবে ঘটনার যে দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছে, তা থেকেই স্পষ্ট যে এদিন আগুনের ভয়াবহতা ঠিক কতটা ছিল। প্রায় সাড়ে চার ঘনাত্র চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন সকালেই ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। কী থেকে এদিন কারখানায় আগুন লাগল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।