গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ভয়াবহ দাবানল। পুড়ে ছাই হয়ে গেল প্রায় এক লক্ষ একর এলাকা। এথেন্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহরতলী ও বৃহত্তর অ্যাটিকা অঞ্চলে ভয়াবহ আকারে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে, দাবানল ছড়িয়ে যেতে থাকায় জনবসতি খালি করতে ইতিমধ্যে ৩০টি জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এথেন্সের ন্যাশনাল অবজারভেটরির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রায় এক লাখ একর বনভূমি ও কৃষিজমি পুড়ে গেছে।
সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ দাবানল ছড়িয়ে গিয়ে রাজধানীর শহরতলিতে চলে আসে। এর আগে রবিবার বিকেলে এথেন্স শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এই দাবানলের ঘটনা ঘটে।
এথেন্সের দমকল বাহিনীর জানানো হয়েছে, সাত শতাধিক দমকলকর্মী, সামরিককর্মী, স্বেচ্ছাসেবক, ৩৫টি জল নিক্ষেপকারী বিমান ও হেলিকপ্টার নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত আরো বেশ কিছু এলাকায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
এদিকে দাবানলে তিনজন দমকলকর্মীসহ মোট ৩৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
এথেন্সের কিছু জায়গায় ধোঁয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসনের তরফে সেসব এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শহরতলিতে থাকা কারখানাগুলোর বিষাক্ত পদার্থ দাবানলের আগুনের ধোঁয়ায় মিশে যাওয়ায় দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে যাতে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় না পড়তে হয়।
স্যাটেলাইট ছবি অনুযায়ী গ্রিসের বিজ্ঞানীরা জানান, দাবানলের ধোঁয়া অ্যাটিকা থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়েছে।
চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই দেশজুড়ে প্রতিদিন দাবানলের সাথে লড়াই করছেন গ্রিসের দমকল কর্মীরা। প্রতি গ্রীষ্মে দেশটিতে ঘন ঘন দাবানলের ঘটনা ঘটে। গত বছর দাবানলে ২০ জনের মৃত্যু হয়। এ বছর এখন পর্যন্ত দাবানলে ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।