প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে স্কুল ছাত্রীদের উপর আক্রমণ ও তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা দুষ্কৃতীদের। ঘটনাটি ঘটেছে দোয়ের বাজার ও চাপড়া যাবার রাস্তার মাঝামাঝি। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বিগত দিনেও একাধিক ঘটনায় খবরের শিরোনামে রয়েছে নদীয়ার চাপরা।
এবার আনুমানিক রাত আটটা নাগাদ প্রাইভেট পড়ে ছাত্রীরা বাড়ি ফেরার পথেই আক্রান্ত হল দুষ্কৃতীদের হাতে। ছাত্রীদের বাড়ি চাপড়া থানার অন্তর্গত নিলুয়া গ্রামে । তারা প্রাইভেট পড়তে যেত দোয়ের বাজারে । বিগত দিনে বারংবার ছাত্র-ছাত্রীরা তার বাড়িতে জানিয়েছিলেন ওই দুষ্কৃতীদের বিরক্ত করার কথা। ওই দুষ্কৃতীরা রাস্তার মাঝে প্রায়ই বিরক্ত করতো উত্ত্যক্ত করতো ছাত্র-ছাত্রীদের। এই বিষয়টি বারংবার বাড়িতে জানানোর পরে ছাত্র-ছাত্রীর বাবারা দলবদ্ধভাবে সেই স্থানে গিয়েও তখন আর দেখা পায়নি ওই দুষ্কৃতীদের।
আক্রান্ত ছাত্রী আসমা খাতুন জানান মাঝে মধ্যেই তারা বিরক্ত করতো। আজ তারা যখন বাড়ির ফিরছিল ঠিক তখনই ওই দুষ্কৃতীরা হামলা করে। আসমা খাতুন বৃষ্টি পড়ার কারণে সে তার ছাতা খুলছিল। আচমকাই হামলায় সে পালিয়ে যেতে পারে না। অন্যান্য ছাত্রীরা পালিয়ে গেলেও তারা দুজন আটকে পড়ে দুষ্কৃতীদের হাতে। দুষ্কৃতীরা আসমা খাতুন ও তার সহপাঠীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই দুই ছাত্রীর চিৎকার-চেঁচামেচি ও বাধা দিতে গেলে আসমা খাতুনের গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। প্রাণ বাঁচাতে আসমা খাতুন হাত দিয়ে ধরে ফেলে। অস্ত্রের কোপে আসমা খাতুন এর হাতের চার আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর চিৎকার-চেঁচামেচিতে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। রক্তাক্ত ছাত্রীকে ঘটনাস্থল থেকেই তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন ।
রাতের অন্ধকারের কারনে এবং ওই দুষ্কৃতীরা গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখার ফলে কাউকে চিনতে পারেনি। তবে এই ঘটনায় আবারো প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশান্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছে না। তবে এই ঘটনা থেকে উঠে আসছে দুষ্কৃতীদের নোংরা ধর্ষণের মনোবৃত্তি ছিল বলেই মনে করছেন আক্রান্ত ছাত্র-ছাত্রীর পরিবারেরা। ছোট ছোট ছাত্রীদের উপর এই হামলার ঘটনায় একপ্রকার আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।👇🏻