দেশ লিড নিউজ

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত

সম্প্রতি মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন অজিত পওয়ার। গত ২ জুলাই এনসিপির প্রায় ৪০ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে শিবসেনার একনাথ শিণ্ডে সরকারে যোগ দেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অজিত পওয়ার। এমনকী ওইদিন বিকেলেই সেরাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও নেন অজিত। শরদের দলে শুরু হয় টানাপোড়েন। দলের ভবিষ্যৎ নিয়েও জল্পনা চরমে ওঠে রাজনৈতিক মহলে। কাকা-ভাইপোর বিচ্ছেদে ‘বিপদে’ পড়েন এনসিপির বাকি নেতারাও। কিন্তু ফের সব জল্পনা উসকে মহারাষ্ট্র সরকারের একাধিক মন্ত্রী-সহ ভাইপো অজিত দেখা করলেন কাকা শরদ পওয়ারের সঙ্গে। রবিবার এনসিপি সুপ্রিমোর অফিসে তাঁদের দেখা হয়।

স্বাভাবিকভাবেই, অজিত-শরদের এই বৈঠকের পরেই ফের গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহল জুড়ে। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন কোনও সমীকরণের ইঙ্গিতের কথাও দাবি করছেন কেউ কেউ। যদিও অজিত শিবিরের দাবি, আচমকাই দেখা হয়েছে তাঁদের! এমনকী প্রফুল্ল প্যাটেলদের তরফে সিনিয়র পওয়ারের কাছে দলের ঐক্যবদ্ধতার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। এদিন অজিতের সঙ্গে ছিলেন প্রফুল্ল প্যাটেল, নরহরি জিরওয়াল, দিলীপ ওয়ালসে পাটিল, হাসান মুশরিফ, ধনঞ্জয় মুন্ডে, রাজ্যের মন্ত্রী ছগান ভুজওয়াল, অদিতি তাতকরে-সহ অন্যান্যরা।

কিন্তু কেন অজিত শিবিরের মুখে ঐক্যের আহ্বান? আসলে মহারাষ্ট্রে জোর জল্পনা চলছে, দলত্যাগ বিরোধী আইনে শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও তাঁর ১৫ বিধায়কের বিধানসভার সদস্য পদ খারিজ হয়ে যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট গত শুক্রবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে নির্দেশ দিয়েছে দলত্যাগ বিরোধী আইনে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দ্রুত নিতে। বিষয়টি ফেলে রাখা যাবে না। মনে করা হচ্ছে, অজিত শিবির তাই চিন্তায় আছে তাঁদেরও একই পরিণতি হলে মন্ত্রিসভায় থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ইতিমধ্য শরদ শিবির অজিতদের সদস্যপদ খারিজ করার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে স্পিকারকে।