সাগরে বাইরের রাজ্যের পূণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে তৈরি হল ফুড কোর্ট। এই ফুড কোর্টে মিলবে ইডলি, ধোসা থেকে শুরু করে সমস্ত অবাঙালি খাবারের সন্ধান। সাগর ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চয়েত সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই ফুড কোর্টটি খোলা হয়েছে। এই ফুড কোর্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাগর কণ্যা’ফুড কোর্ট।
এই ফুড কোর্টটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা পরিচালনা করবেন। ইতিমধ্যে এই ফুড কোর্টটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। আর মাত্র কয়েকমাস পরে সাগরমেলা। সেই সাগরমেলার সময় এই ফুড কোর্টটি বাইরের রাজ্যের পূণ্যার্থীদের খাবারের চাহিদা পূরণ করবে।
প্রতিবছর সাগর মেলায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। এরসমধ্যে অবাঙালি পূণ্যার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে। এবছর করোনাবিধি না থাকায় সেই সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে। এই বিপুল সংখ্যক অবাঙালি পূণ্যার্থীর স্বাভাবিক খাবারে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে সেজন্য এই ফুড কোর্ট সর্বদা খোলা থাকবে। বর্তমানে এই ফুড কোর্ট থেকে ১২ রকম খাবার পাওয়া যাচ্ছে।
এ নিয়ে ফুড কোর্টের এক মহিলা কর্মচারী টুসি জানা জানান, সাগর ব্লক বিডিও অফিসের কাছে এই ফুড কোর্টটি খোলা হয়েছে। এই ফুড কোর্টটি সম্পূর্ণ মহিলারাই পরিচালনা করছেন। ফুড কোর্টে পাওয়া যাচ্ছে ইডলি, ধোসা, ধোকলা, মোমো সহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী।
ফুড কোর্ট নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্বপন কুমার প্রধান। তিনি জানান, গঙ্গাসাগর এখন সর্বভারতীয় পূন্যক্ষেত্র। কুম্ভমেলার পর যার স্থান। সেজন্য এই মিলনক্ষেত্রে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মানুষজন আসেন। তাদের যাতে খাবার নিয়ে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য এই ফুড কোর্ট খোলা হয়েছে।