লন্ডনে বসে ভারত থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল মণিপুরের মহারাজার পক্ষে এক প্রতিনিধি দল। অস্থায়ী সরকারে ইয়ামবেন বীরেনকে মুখ্যমন্ত্রী এবং নারেংবাম সমরজিৎকে বিদেশ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের রাজা লিসেম্বা সানাজাওবা’র পক্ষে তারা স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা ঘোষণা করা হলেও এই বিষয়ে লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বীকৃতি জোগাড়ে ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের (দ্বিতীয়) কাছে আবেদন করেছেন ওই নেতারা। সাংবাদিক বৈঠকে নিজেদের মণিপুর স্টেট কাউন্সিলের নেতৃত্ব ঘোষণা করে পৃথক প্রশাসনের ডাক দিয়েছেন বীরেন এবং সমরজিৎ। ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে ব্রিটেনের রাজনৈতিক আশ্রয়ের স্বপক্ষেও নথি দেখিয়েছেন দুই নেতা।
এই বিষয়ে লন্ডনে সাংবাদিকদের নারেংবাম সমরজিৎ বলেন, ‘আজকে থেকে আমরা সেখানে (মণিপুর) অস্থায়ী সরকার পরিচালনা করব। আমরা বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা চাইব যাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য হতে পারি। আর আমরা আশাবাদী অনেক দেশই আমাদের সমর্থন করবে।’ এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মণিপুরের ৩০ লাখ মানুষ ভারত সরকারের থেকে স্বাধীনতা চাইছে। তবে দেশে ফিরলে হত্যার আশঙ্কাও করেছেন বীরেন ও সমরজিৎ। দুই নেতার আরও অভিযোগ, মণিপুরের বাসিন্দাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। সুপ্রিম কোর্টে এমন ১৫২৮টি হত্যার মামলার ভবিষ্যৎ এখনও ঝুলে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে মনিপুর। কিন্তু তার দু’বছর পরেই তারা ভারতের সঙ্গে একত্রিত হয়ে যায়। যার ফলে কয়েক দশক ধরে স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে আসছেন তাঁরা।
