সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা শিবু হাজরাকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ফের আদালতে পেশ করা হবে ধৃত তৃণমূল নেতাকে। রবিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বেলা পৌনে ১২ নাগাদ বসিরহাট থানা থেকে পুলিশি পাহারায় শিবুকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন সকাল থেকে থানা চত্বরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। শিবুকে লক্ষ্য করে ‘চোর’‘চোর’ স্লোগান দেন স্থানীয়রা। কবে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হবে, এই প্রশ্ন তুলে থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান নির্যাতিতরা। গোটা গ্রামে ঘুরে ঘুরে মিষ্টিমুখও করেন স্থানীয়রা।
শিবুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এ, ৩৫৪ বি, ৩৭৬ ডি, ৩০৭, ৩৪১, ৩২৩, ৫০৬, ৫০৯ ও ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বাকি মামলাগুলি আগেই হয়েছিল। পরে এক মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার পর শনিবার মামলায় যুক্ত হয় ৩৭৬ ডি (গণধর্ষণ) ও ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) ধারাও। এদিন কোর্টের শুনানির পরে আইনজীবী অরিন্দম গোলদার বলেন, “গত ৭ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে শিবু হাজরার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। যাবতীয় অভিযোগ উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে রয়েছে। ওই মহিলার অভিযোগ অনুযায়ী, উত্তম সর্দার তাঁর হাত আর কাপড় ধরে টানাটানি করেছিল।”
এর আগে গত ১৫ তারিখ ১৬৪ স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারিণীর মেডিক্যাল পরীক্ষার দরকার ছিল, সেটা হয়নি। কোথায় ওই মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন, সেটা তিনি এফআইআরে বলেননি। এফআইআরে শাড়ি ও হাত ধরে টানার অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। তবে শিবুর বিরুদ্ধে, গণধর্ষণ, খুনের চেষ্টা, শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। শিবপ্রসাদ প্রভাবশালী, তাই তাকে আরো কিছুদিন জেলে রাখার প্রয়োজন রয়েছে। এদিকে, সন্দেশখালির আরও ৪টি এলাকায় ১৪৪ ধারা শিথিল করা হয়েছে।