দেশ লিড নিউজ

লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ডেড অধীর চৌধুরী সহ ৭৮ বিরোধী সাংসদ!

স্বাধীনতার পর প্রথম বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশের সংসদ। শীতকালীন অধিবেশন থেকে বিরোধী দলের মোট ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। ইতিপূর্বে মোট ১৪ জন বিরোধী সাংসদকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট ৯২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শীতকালীন অধিবেশনে দুই কক্ষে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।

লোকসভায় স্মোককাণ্ডের জেরে উত্তাল দেশের সংসদ। শীতকালীন অধিবেশনে চলাকালীন এই বিষয়ে দুই কক্ষে লাগাতার সরব হয়েছেন বিরোধী সাংসদরা। কংগ্রেসের পাশাপাশি সরব হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি-সহ সমস্ত বাম দলগুলি। স্মোক কাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিবৃতি দাবি করে বিরোধীরা। রবিবারের পর সোমবারও অধিবেশন চলাকালীন সেই দাবিতে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ ওঠে বিরোধী সাংসদদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন করে লোকসভার ৩৩ জন ও রাজ্যসভার ৪৫ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল লোকসভা থেকে।

সাসপেন্ডেড সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী-সহ আরও অনেকে। নতুন করে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের শাসক দলেরও একাধিক সাংসদ। সেই তালিকায় রয়েছেন সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, অপরূপা পোদ্দার। এদিনের লোকসভায় সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন ডিএমকে-র সাংসদ দয়ানিধি মারন ও টি আর বালুও। রাজ্যসভার সাংসদদের মধ্যে রয়েছে জয়রাম রমেশ, কেসি বেনুগোপাল, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা-সহ একাধিক হেভিওয়েট বিরোধী সাংসদ। শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে আলোচনা সভায় অংশ নিতে পারবেন না এই সাংসদরা।