মঙ্গলবার ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে মণিপুরের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন মণিপুরের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মোদি বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মণিপুরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। অনেক হিংসার সাক্ষী হয়েছে মণিপুর। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, মা-বোনেদের সম্মান নষ্ট হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে শান্তি ফিরে এসেছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার মণিপুরের শান্তি ফেরাতে অনেক চেষ্টা চালিয়েছে। গোটা দেশ মণিপুরের পাশে রয়েছে। মণিপুরের মানুষকে এই শান্তি বজায় রাখতে হবে। তাঁরা নতুন করে বিভেদ সৃষ্টি করলে চলবে না।’
লালকেল্লায় দেশ-বিদেশের অতিথিদের উপস্থিতিতে তেরঙা উত্তোলন করে দেশের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধির শহিদবেদিতে ফুল দিয়েও শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। উদযাপনী অনুষ্ঠান শুরুর প্রাক্কালে লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়। লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের লালকেল্লার অনুষ্ঠানে প্রথমবার যোগ দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভুত সদস্য রো খান্নাও। স্বাধীনতা দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে এদিন ১৮০০ জন বিশেষ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, কোন নেতা-মন্ত্রী নন, এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের সাধারণ খেঁটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রাপক উপভোক্তা, কৃষি উৎপাদন সংস্থার প্রতিনিধি, সেন্ট্রাল ভিস্টার শ্রমযোগী, প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার প্রতিনিধি, খাদি কর্মী, সীমান্ত সড়ক অমৃত সরোবর ও হর ঘর জল প্রকল্পের নির্মাণ শ্রমিক, প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক, নার্স এবং মৎস্যজীবী প্রতিনিধিরা।