২০২২ সালে আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে কংগ্রেস ঘোষণা করল ৭টি নতুন কমিটির। সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখা নেতাদের কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে ক্ষমা করতে নারাজ তা বোঝা গেল উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নতুন করে তৈরি করা কমিটি দেখে। উত্তরপ্রদেশের যে দুই কংগ্রেস নেতা ওই চিঠিতে সাক্ষর করেছিলেন, তাঁদের ঠাঁই হয়নি কমিটিতে।
দলীয় সূত্রে খবর, নির্বাচন কেন্দ্রিক কমিটিগুলি থেকে কংগ্রেস হাইকমান্ড বাদ দিল রাজ বব্বর এবং জীতিন প্রসাদাকে। ঘোষিত হওয়া ৭ নির্বাচনী কমিটিতে জায়গা হল না বিদ্রোহী দুই নেতার। নির্বাচনের আগে দলের ইস্তেহার তৈরির জন্য যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে সেই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ। দলীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের দাবি করে যে ২৩ জন নেতা সই করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাজ বব্বর এবং জীতিন প্রসাদা। শুধু এঁরা দু’জনই নন, কোনও কমিটিতেই জায়গা পাননি উত্তরপ্রদেশের ডাকসাইটে নেতা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরপিএন সিং।
সূত্রের খবর, সোনিয়াকে চিঠি লেখার নিন্দে করা দুই কংগ্রেস নেতা নির্মল খাতরি ও নসিব পাঠানের জায়গা হয়েছে কমিটিতে। গত লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে সব থেকে খারাপ ফল হয় কংগ্রেসের। সোনিয়া গান্ধী রায়বরেলী ধরে রাখতে পারলেও রাহুল গান্ধী অমেঠী কেন্দ্রে হারান বিজেপি’র স্মৃতি ইরানির কাছে। তাই জনসংখ্যার দিক থেকে ভারতের বৃহত্তম রাজ্যে নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে মরিয়া কংগ্রেস। কয়েক মাস আগে দলীয় বৈঠকে চিনের আগ্রাসন সম্পর্কে দলের কৌশলের সঙ্গে তাঁর মতের মিল না হওয়ায় হয়তো কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন আরপিএন সিং। এটা বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের পক্ষে।
জানা গিয়েছে, সদস্যপদে থাকবেন পি এল পুনিয়া, সুপ্রিয়া শ্রীনাতে এবং আরাধনা মিশ্র মোনা আউটরিচ কমিটির দায়িত্বে থাকবেন প্রমোদ তিওয়ারি। তাঁর সঙ্গে এই কমিটিতে থাকবেন ইমরান মাসুদ, নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকি এবং বাল কুমার পটেল। মেম্বারশিপ কমিটির প্রধান অনুগরাহ নারায়ণ সিং, প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটির প্রধান নূর বানো। ট্রেনিং এবং ক্যাডার ডেভলপমেন্ট কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ নির্মল খত্রীকে। পঞ্চায়েত রাজ ইলেকশন কমিটির প্রধান হয়েছেন রাজেশ মিশ্র। গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া এবং কমিউনিকেশন কমিটির প্রধান রাশিদ আলভি। তাঁকে সহযোগিতা করবেন ললিতেশ পাতি ত্রিপাঠি, অখিলেশ প্রতাপ সিং, সুরেন্দ্র রাজপুত, ওমকার সিং এবং বীরেন্দ্র মদন।