ভারত–চিন কী যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী? দেশের মানুষের কাছে এই প্রশ্ন এখন বড় আকার নিয়েছে। কারণ চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের মাঝেই প্রতিরক্ষা বাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কেনার জন্য ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষমতা দিল কেন্দ্র। আর তাতেই এই জল্পনার জন্ম দিয়েছে। দেশের মানুষ এবং বিরোধীরা জানতে ও দেখতে চায় ২০ জন জওয়ানের আত্ম বলিদানের প্রেক্ষিতে ভারত সরকার কতটা জোরালো পদক্ষেপ করে। নাকি সবটাই আই ওয়াশ।
জানা গিয়েছে, ভারতের স্থল, জল এবং বায়ু তিনটি সেনাবাহিনীর উপ–প্রধানদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীতে যদি কোনও ঘাটতি থেকে থাকে অথবা প্রয়োজনীয়তা থাকে তা হলে এই ৫০০ কোটি টাকায় তা পূরণ করা যাবে বলে জানিয়েছেন এক উচ্চপদস্থ প্রতিরক্ষা আধিকারিক। আর এত পরিমাণ টাকার রাতারাতি অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার নেপথ্যে কোনও প্রত্যাঘাতের পরিকল্পনা আছে কি না তা এখনই কেউ জানায়নি। তবে এই সিদ্ধান্তটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের কাছে তিনি জানান, এই টাকায় প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কিনতে পারবে তিনটি বাহিনী।
আজই ভারত–চিন সীমান্তের পূর্ব লাদাখে চিনের আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের সেনার সংখ্যাবৃদ্ধির দিকে নজর রেখেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেই পদক্ষেপেরই অঙ্গ এই প্রয়োজনীয় অস্ত্র কেনার আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া। পরপর নানা পদক্ষেপ করায় চাপ বেড়েছে চিনের। যদিও তাদের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। রবিবার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত–সহ তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং নির্দেশ দেন, ‘কোনওরকম আগ্রাসনের চেষ্টা হলেই যোগ্য জবাব দিন,গো এ্যাহেড।’