অজানা জ্বরের আসল কারণ জানা গেল। উত্তরপ্রদেশে বিগত দুই সপ্তাহে ৫০ জন শিশু–সহ ৬০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এবার তার কারণ হিসাবে দায়ী করা হল ডেঙ্গু হেমারোজিক ফিভারকেই। অজানা জ্বরে শিশু মৃত্যুর কারণ জানতেই কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছিল। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে এই খবর মিলেছে।
প্রবল জ্বর, খিঁচুনি, রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং শরীরে জল শুকিয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিভি্ন্ন জেলায় অনেকে ভর্তি হচ্ছিলেন। অজানা জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীর খোঁজ মিলছে ফিরোজাবাদ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি থেকেই। ডেঙ্গু বলে সন্দেহ করলেও দু-তিনদিনের মধ্যেই শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ও তারপর মৃত্যু হওয়ায় গোটা রাজ্য়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফিরোজাবাদে বিগত ১০ দিনেই ৪৫টি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পরই বিশেষ তদন্তের নির্দেশ দেয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফিরোজাবাদ ও তার আশেপাশের এলাকা থেকে প্রায় ২০০ জনের দেহের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশের রিপোর্টই ডেঙ্গু পজেটিভ এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দলের তরফে উপসর্গ ও সংক্রমণের হার দেখে এটিকে হেমারোজিক ডেঙ্গু বলে জানিয়েছে।
সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে ডেঙ্গুর পাশাপাশি স্ক্রাব টাইফাস বা বুস টাইফাসের কারণে জ্বর আসার প্রমাণ মিলেছে। পরীক্ষায় একাধিক নমুনায় সবজি বা ঝোপঝাড়ে পাওয়া যাওয়া এই পোকার উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। ফিরোজাবাদ ছাড়াও মথুরা, আগ্রা উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশের একাধিক জায়গায় অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। হাসপাতালগুলির অবস্থাও শোচনীয়।
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘মেডিক্যাল কলেজগুলিকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। রোগীদের চিকিৎসার জন্যও যথেষ্ট সংখ্যক চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দল পাঠানো হচ্ছে। এত সংখ্যক রোগীদের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখবে তারা।’ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী রাজ্য সরকারকেই দোষারোপ করেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা থেকেও রাজ্য সরকার শিক্ষা নেয়নি।