দেশ ব্রেকিং নিউজ

স্বাধীনতা দিবসের পর ভূস্বর্গে ৪জি

১৫ আগস্টের পর জম্মু এবং কাশ্মীরের একটি করে জেলায় পরীক্ষামূলক ৪জি ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করা হবে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই কথাই জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে এও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, একসঙ্গে গোটা জম্মু–কাশ্মীরের উপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে না। ধাপে ধাপে এক একটি জেলা থেকে তুলে নেওয়া হবে নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা তোলার পর কী প্রতিক্রিয়া হয়, তা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
কোন দু’টি জেলায় এই নেট সংযোগ চালু করা হবে, সে ব্যাপারে এখনও খোলসা করে কিছু জানায়নি কেন্দ্র। তবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কোনও জেলায় এই ব্যবস্থা চালু হবে না। যে জেলায় জঙ্গি কার্যকলাপ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম, সেই জেলাগুলিতেই এই ৪জি ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে আগস্ট মাসে ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার পরই জম্মু–কাশ্মীরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। কারণ আশঙ্কা ছিল, ইন্টারনেটের মাধ্যমে উপত্যকায় ছড়াতে পারে নাশকতার পরিবেশ। তাই প্রায় ৬ মাস পরে জানুয়ারি মাসে জম্মু–কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। তবে শুধুমাত্র কম গতির ২জি পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছিল এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। ২জি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলেও শুধুমাত্র হোয়াইটলিস্টেড নির্দিষ্ট কয়েকটি সাইটই দেখার অনুমতি পেয়েছিলেন কাশ্মীরবাসী। ছিল না কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অ্যাকসেস।
সূত্রের খবর, কাশ্মীরে ৪জি ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করার বিষয় নিয়েই কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধ হয় প্রাক্তন উপরাজ্যপাল গিরীশচন্দ্র মুর্মুর। জঙ্গি কার্যকলাপের দোহাই দিয়ে এখনই কাশ্মীরে ৪জি ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করার বিরোধী ছিলেন তিনি। তখন মুর্মুকে কাশ্মীর থেকে ফিরিয়ে এনে তাঁর জায়গায় প্রাক্তন বিজেপি নেতা মনোজ সিনহাকে পাঠানো হয়। কেন্দ্রের মতে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার ফলে কাশ্মীরের সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে চলার মতো ক্ষমতা রয়েছে সিনহার।