বাংলাদেশে শিকড় মজবুত করছে জেহাদিরা। মুক্তমনাদের হত্যা থেকে শুরু করে মূর্তি ভাঙার মতো ঘটনা রোজ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ উসকে এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের প্রায় ৪৪ শতাংশই জামিনে মুক্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ওয়েবিনারে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক নিলয়রঞ্জন বিশ্বাস। পুরনো জঙ্গিদের পুনর্বাসন এবং সন্ত্রাস দমনে তাঁদের ভূমিকা শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধে নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট থেকে পাওয়া তথ্য তুলে ধরেন।
তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জামাত–উল–মুজাহিদিন (জেএমবি) ও নব্য জেএমবি’র সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯১১ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছে। আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) গ্রেপ্তার ৪৯৯ জনের মধ্যেও শর্তসাপেক্ষে জেলের বাইরে আছে ১৪৬ জন। হরকতুল জেহাদের (হুজি) গ্রেপ্তার ৩৭৯ জনের মধ্যে জামিন পেয়েছে ১৩১ জন। আর হিযবুত তাহরীরের (এইচটি) গ্রেপ্তার ৯২১ জনের মধ্যে বাইরে আছে ৫৪৫ জন। এই চার সংগঠনের ৭১ জন জঙ্গি জামিন পেয়ে পালিয়ে গিয়েছে। ফলে তারা ফের হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অধ্যাপক বিশ্বাস জানান, ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১০৯ জন জঙ্গি কারাগারে শাস্তি ভোগ করছে। তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই যুবক বা মধ্যবয়সী। তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশই খুব শিগগির সাজা ভোগ করে কারাগার থেকে মুক্তি পাবে। জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর তারা যাতে আবারও জেহাদি কার্যকলাপে জড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য পদক্ষেপ করা জরুরি।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশে উত্থান হয় মৌলবাদের৷ তারপর থেকেই দেশজুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা৷ আওয়ামি লিগের আমলেও গুলশন হামলার মতো একাধিক নাশকতার ঘটনা দেশে ঘটিয়েছে জেহাদিরা৷ তবে শক্ত হাতে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
