ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

করোনায় আক্রান্ত ৩৯ জন জওয়ান!‌

করোনার হটস্পট হয়ে উঠল গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। সেখানে কর্মরত কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক হারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সিআইএসএফের রিপোর্ট বলছে, একদিনে কলকাতায় করোনা আক্রান্ত ৩৯ জন জওয়ান। গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সের মোট ৩৯ জন জওয়ান করোনায় আক্রান্ত। অফিস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ওই জওয়ানদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। স্যানিটাইজ করা হচ্ছে এলাকা।
গত ২৪ ঘণ্টায় জিআরএসইএলে কর্মরত ৩৯ জন জওয়ান কোভিড ১৯–এ আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে সিআইএসএফ সূত্রে। তবে প্রত্যেকেরই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে খবর। এছাড়াও কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের এক জন জওয়ান করোনা আক্রান্ত। এসএসকেএম হাসপাতালে দুই জুনিয়র চিকিৎসকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি তাঁদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়, রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
জিআরএসইএল ছাড়াও কলকাতা বন্দর, বিমান বন্দর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এবং ভারতীয় জাদুঘরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআইএসএফ। বন্দর এলাকায় ভূতঘাটের কাছে রয়েছে সিআইএসএফ ব্যারাক। সিআইএসএফ কর্তাদের ধারণা, বাহিনীর ক্যান্টিন থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কারণ লকডাউনের সময় বাহিনীর সদস্য ছাড়াও বেশ কিছু শ্রমিক সেই ক্যান্টিনে খাওয়াদাওয়া করেছেন। নয়াদিল্লিতে সিআইএসএফের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গোটা দেশে তাঁদের বাহিনীর ১০৯ জন করোনা আক্রান্ত। তার মধ্যে কলকাতায় বর্তমানে আক্রান্ত ৩৯ জন। মুম্বই এবং দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ এবং ৩২। কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে তিলজলা থানার এসআই–ও। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রমথেশ বড়ুয়া সরণির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের এক কর্তার শরীরে করোনার নমুনা পাওয়া গিয়েছে। ব্যাঙ্কের ওই শাখা সিল করে দেওয়া হয়েছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের দুই সাফাইকর্মী, একজন নার্স, মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের শরীরেও করোনার নমুনা মিলেছে। একের পর এক চিকিৎসক ও পুলিশ কর্তাদের করোনা আক্রান্তের খবর ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর ও লালবাজারকে।
কলকাতা বন্দর সূত্রে খবর, ডক চত্বরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের মধ্যে ৩ জনের সংক্রমণ হয়েছিল। তাঁদের দু’জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। ১ জন চিকিৎসাধীন। গত তিন দিনে দুই সিআইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে। আক্রান্তদের গোটা ইউনিটকেই কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। গোটা ইউনিটেরই কোভিড পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের এক অফিসার। বুধবার আর জি কর হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এক সদস্যের কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।