বাংলাদেশ

কোভিড হাসপাতালেই ৩৫১ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আগের থেকেও খারাপ হচ্ছে বলে খবর। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা কোভিড–১৯ হাসপাতালে গত ৭২ দিনে মারা গিয়েছেন ৩৫১ জন। এই কয়েক দিনে প্রত্যেকদিন গড়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় পাঁচ। হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য মিলেছে। সুতরাং আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে কুমিল্লায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল পর্যন্ত করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে দু’‌জন মারা গিয়েছেন। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত পরিষেবা মিলছে না হাসপাতালটিতে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগী মুমূর্ষু অবস্থায় পৌঁছলেই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হন। ফলে তাঁদের আর কিছু করার থাকে না। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ উঠলেও এত বেশি মানুষের মৃত্যু হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
হাসপাতালের সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৫৩ জন পুরুষ আর ৯৮ জন মহিলা। তাঁদের মধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩০৩ জন এবং করোনা পজিটিভ হয়ে ৪৮ জন মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গিয়েছেন ১৮১ জন, করোনা ওয়ার্ডে ৫৬ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১১৪ জন। প্রথম একমাসে হাসপাতালে মারা যান ১৬৬ জন রোগী। পরের মাসে ১২৪ জন। গত ১৩ দিনে মারা গেলেন ৬১ জন। ঈদের পর থেকে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দু’‌জনের মধ্যে একজন মহিলা। ৫৬ বছর বয়সী ওই মহিলার বাড়ি শাসনগাছা এলাকায়। অন্যজনের বাড়ি বরুড়া উপজেলার দেওয়া গ্রামে। তাঁর বয়স ছিল ৬০ বছর। কুমিল্লা কোভিড–১৯ হাসপাতালে সংকটজনক রোগীদের বাঁচানো যাচ্ছে না। এমন অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।