করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন। আক্রান্তের সংখ্যাও ২২ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৭ হয়েছে। কারণ আরও এক মহিলার মৃত্যু হল করোনার জেরে। এই ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। তাই হাওড়া হাসপাতাল থেকে রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে গোটা হাসপাতালকে আইসোলেট করা হবে। করোনা আক্রান্ত রোগিণীর মৃত্যুর ঘটনায় চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগে এদিন সকালে হাসপাতালে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মরত নার্সরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মহিলা হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা। তিনি সম্প্রতি ডুয়ার্স থেকে ফিরেছেন। হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। মারা যাওয়ার পর তার থুথু পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। ২২ তারিখ বিকেল পাঁচটা নাগাদ ভর্তি হন ওই মহিলা। ওই মহিলা কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালে থাকা রোগী, নার্স , চিকিৎসক এবং কোন কোন রোগীর আত্মীয় হাসপাতালে প্রবেশ করেছেন, বেরিয়েছেন, কোন কোন অ্যাম্বুল্যান্স ও চালক এসেছেন–গিয়েছেন এবং অন্যান্য আর কে কে প্রবেশ করেছেন, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
সূত্রের খবর, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ৪৮ বছরের মহিলার মৃত্যু হয়েছে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে। প্রাথমিক রিপোর্ট এমনটাই বলছে। নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় পরীক্ষা করা হচ্ছে এসএসকেএমের ল্যাবরেটরিতে। হাওড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য ভবন। এছাড়াও এক যুবকের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নমুনা পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় দেহে সংক্রমণ মিলেছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই নমুনা কলকাতায় পাঠানো হয়। পরীক্ষায় যুবকের শরীরে কোভিড–১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। টালিগঞ্জের এক ব্যক্তি ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর শরীরেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। এসএসকেএমে ওই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা হয়। সেখানেই রিপোর্ট পজেটিভ আসে।