তেররামের জঙ্গলে নিখোঁজ ২১ জনকে খুঁজতে ঢুকেছিল একটি টিম। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে সেখান থেকেই উদ্ধার করে আনা হয় ১৪ জনের দেহ। ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩। ছত্তীশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে বিজাপুর জেলায় গত শনিবার মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২২ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। যৌথ বাহিনীর একজন সদস্য এখনও নিখোঁজ।
বিজাপুরের পুলিশ সুপার কমলচরণ কাশ্যপ জানিয়েছেন, ২২ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ৩০ জন হাসপতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার সকালে ছত্তীশগড়ের পুলিশের ডিজি (মাওবাদী অভিযান) অশোক জুনেজা বলেন, ‘গতকাল মাওবাদী বিরোধী অভিযানে পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মী মারা গিয়েছিলেন। মৃতের সংখ্যা এখন বেড়ে গিয়েছে। ছত্তিশগড়ে জঙ্গলের ভেতর মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর চলে গুলির লড়াই। চলতে থাকে এনকাউন্টারের পর এনকাউন্টার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বিজাপুর ও সুকমা জেলা।’
বিজাপুরের এসপি কমলাচোন কাশ্যপও জানিয়েছেন, সুকমা–বিজাপুরে সীমানায় মাওবাদীদের হামলায় ২২ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। কর্ডন করে রাখা হয় গোটা এলাকা। কিন্তু গুলির শব্দ থামতেই খোঁজ মেলে না ২৩ জন জওয়ানের। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। শনিবার দু’হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল মাওবাদীদের দুর্গ হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ বস্তার জঙ্গলের বিজাপুর ও সুকমা জেলা থেকে একটি বড়ো অভিযান শুরু করে। দুপুর ১২টা নাগাদ মাওবাদীরা নিশানা করে যৌথ বাহিনীকে। দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই চলে।
প্রথমে জানা যায়, গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন জওয়ান। গোপন সূত্রে মাওবাদীদের খবর পেয়ে অভিযান চালায় সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী, ডিআরজি এবং এসটিএফ৷ এই ঘটনায় কেঁপে ওঠে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর। পুলিশ আরও জানিয়েছে, গুলি বিনিময়ের সময় কয়েকজন মাওবাদীও নিহত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দুই মাও সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও তল্লাশি চলছে। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শোকপ্রকাশ করেছেন।