২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানো গণধর্ষণ এবং পরিবারের সাতজনকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জন দোষীকে সোমবার মুক্তি দিয়েছে গুজরাটের বিজেপি সরকার।
মুক্তি পাওয়া আসামিরা হল যশবন্তভাই নাই, গোবিন্দভাই নাই, শৈলেশ ভাট, রাধেশাম শাহ, বিপিন চন্দ্র জোশী, কেসরভাই ভোহানিয়া, প্রদীপ মোর্ধিয়া, বাকাভাই ভোহানিয়া, রাজুভাই সোনি, মিতেশ ভট্ট এবং রমেশ চন্দনা। দোষীরা গোধরার সাব-জেলে আটক ছিল।
সোমবার গোধরা জেল থেকে সকলেই বেরিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০০৮ সালে প্রত্যেককেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, গুজরাট সরকারের শাস্তি মকুবের নিয়ম অনুযায়ী, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার আবেদন করে দোষীদের একজন। তার আবেদনের ভিত্তিতেই ১৫ বছর কারাবাসের পর সকলের শাস্তি মকুব করে দিয়েছে গুজরাট সরকার। গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গুজরাটের সবরমতী এক্সপ্রেসের কয়েকটি কোচে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় গোটা রাজ্যে। আগুনে ৫৯ জন করসেবক নিহত হন। অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবাদে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গোধরায় লাগে দাঙ্গা। এলাকা থেকে সপরিবারে পালিয়ে গিয়ে বিলকিস বানো একটি খোলা মাঠে আশ্রয় নেন। সেসময় তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সেখানেই তাঁকে গণধর্ষণ এবং পরিবারের ৭ জনকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। দোষী সাবস্ত হন ১১ জন।