বিপদের উপর বিপদ। নতুন প্রজাতির করোনা নিয়ে যখন বিশ্ব তোলপাড় তখন নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন ২০ লন্ডন ফেরত বিমানযাত্রী। যা নিয়ে এখন কলকাতা পুরসভার প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে। কারণ, গত চারদিন ধরে কার্যত খড়ের গাঁদায় সূচ খোঁজার মতো করে তল্লাশি চালিয়েও বিলেত ফেরত ওই নিরুদ্দেশ যাত্রীদের একজনেরও টিকি খুঁজে পাননি পুরকর্তারা। সুতরাং আগের ভাইরাসের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন করোনার নয়া প্রজাতি যদি ওই নিরুদেশদের শরীরে থাকে এবং তাঁরা জনবসতিতে মিশে থাকেন তাহলে শহরের জন্য নয়া করোনা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।
পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘লন্ডন ফেরত ৫৭ জন বিমানযাত্রীর তালিকা রাজ্য সরকার পুরসভাকে দিয়েছিল। তার মধ্যে মাত্র একজন করোনার নয়া স্ট্রেনে পজিটিভ। তিনি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। তবে ২০ জন যাত্রীর কোনও সন্ধান মিলছে না।’ রাজ্য সরকার টিকার ডোজ পাঠিয়ে নির্দেশ দিলে কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই এক সাথে ভ্যাকসিন চালু করতে প্রস্তুত রয়েছে পুরসভা। বিষয়টি নিয়ে পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডে টিকা প্রাপক এবং পরিচালনা করতে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা হাতে নিয়ে বৈঠকও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকর্তারা স্বীকার করেছেন, উধাও যাত্রীদের মধ্যে একজনও যদি পজিটিভ হন এবং তিনি যদি লোকালয়ে ঘুরে বেড়ান, মেলামেশা করেন তবে সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। নিরুদ্দেশ ২০ বিমানযাত্রীদের শরীরে যদি নয়া প্রজাতির করোনা থাকে তবে তা দ্রুত গোষ্ঠী সংক্রমণে সাহায্য করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। বিমানবন্দরে থেকে লন্ডন থেকে আসা যাত্রীদের যে নাম ও ঠিকানা পুরসভায় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে পাঠানো হয়েছে তা পুরোপুরি ভুয়ো।
নিউ আলিপুরের এমন ঠিকানায় কারখানা রয়েছে। যদিও ওই কারখানার মালিক বা কর্মচারি কারও সঙ্গে ওই নির্দিষ্ট বিমানযাত্রীর নাম, পদবি বা অন্য কোনও সম্পর্ক নেই। আবার নিরুদ্দেশ এক যাত্রী উত্তর কলকাতায় বহুতল আবাসনের যে ঠিকানা দিয়েছেন সেখানে আদৌ বহুতল তো দূরের কথা কোনও আবাসন নেই। সংক্রমণ রুখতে সতর্ক পুরসভা অবশিষ্ট যে ৩৭ জনের সন্ধান পেয়েছে তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লালারস সংগ্রহ করে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করেছে।
