চাই জমির অধিকার। চাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জলের মত ন্যূনতম মৌলিক অধিকার – এই বার্তা নিয়েই প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ি চা বাগানের ২ আদিবাসী যুবক। ওই দুই যুবকের নাম পিলাতুস ওঁরাও এবং শ্যাম ওঁরাও।
দেশের প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁদের বার্তা পৌঁছে দিতে দিল্লি রওনা দিয়েছেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে তরাইয়ের চা বলয়ে লক্ষাধিক আদিবাসী মানুষের বসবাস। জনসংখ্যার নিরিখে এগিয়ে থাকলেও, পানীয় জল পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, রাস্তাঘাট পরিষেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে রয়েছেন আদিবাসী জনজাতির মানুষেরা। বিশেষত শিক্ষা এবং জমির অধিকার থেকে তাঁরা বঞ্চিত হয়ে আসছেন বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ তাঁদের। এমনকী ডুয়ার্স,তরাইয়ের আদিবাসীদের জন্য হিন্দি স্কুল-কলেজ তৈরি হলেও কর্মক্ষেত্রে বিশেষত সরকারি চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে সেই হিন্দি ভাষায় পড়াশোনা কাজে লাগছে না বলেই অভিযোগ তাঁদের। পাশাপাশি, জমির অধিকার থেকেও পিছিয়ে তাঁরা। এসব অভিযোগই ফুটে উঠছে তাঁদের চোখে-মুখে।
এছাড়াও, আদিবাসী অধ্যুষিত ডুয়ার্সের চা বলয় সহ ডুয়ার্সের জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসীদের প্রাণপুরুষ বীরসা মুন্ডার মুর্তি বসানো হচ্ছে। কিন্তু তাদের অভিযোগ, বীরসা মুন্ডার মুর্তি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম। এই কারণে আরও বেশি করেই আদিবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এহেন অভিযোগগুলিই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পৌছে দিতেই রওনা দিয়েছেন দুই যুবক। তাঁদের আশা, দেশের প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতির কাছে আদিবাসীদের বার্তা পৌঁছে দিতে পারলে, দেখা মিলতে পারে আশার আলো। যে আলো নিয়ে আসতে পারে তাদের জীবনে সম্পূর্ণতা।