হাথরাসের ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ এবং খুনের মামলার সঙ্গে জড়িত আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জে এন মেডিক্যাল কলেজের দুই মেডিকাল অফিসারকে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। কারণ হাথরাস মামলায় ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা।
হাথরাসে নির্যাতিতা তরুণীর ফরেন্সিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, তাকে ধর্ষণ করা হয়নি। একই বক্তব্য ছিল রাজ্য পুলিশেরও। কিন্তু ফরেন্সিক রিপোর্টের বিরোধিতা করেছিলেন এক মেডিক্যাল অফিসার। অন্যজন ওই তরুণীর বেশ কিছু মেডিক্যাল রিপোর্টে সই করেছিলেন। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের একটি দল হাসপাতালে গিয়েছিল সেখানকার চিকিত্সক এবং কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে। আর তার পরেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
হঠাত্ করে কেন সরানো হল দু’জন মেডিকাল অফিসারকে? যুক্তি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বহু চিকিত্সক অসুস্থ হয়ে পড়ায় এই দু’জনকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। রুটিন মেনেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক চিকিত্সকের দাবি, নির্যাতিতা তরুণী সম্পর্কে যে মত তিনি জানিয়েছিলেন তারই জেরে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যে দুই চিকিত্সককে জে এন মেডিকাল কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন ডা. মহম্মদ আজিমুদ্দিন মালিক এবং ডা. ওবেদ ইমতিয়াজুল হক। এঁদের মধ্যে ডা. মালিকই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবির বিরুদ্ধে গিয়ে বলেছিলেন, ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণই করা হয়েছিল। আর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দাবি করেছিল, তরুণী গণধর্ষিতা হয়েছিলেন কি না তা জানার জন্যে যে সব মেডিক্যাল টেস্ট হওয়ার প্রয়োজন ছিল, তা অনেক দেরিতে হওয়ায় কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
একটি সাক্ষাত্কারে ডাক্তার মালিক জানান, ধর্ষণ হয়েছে কি না তা নিশ্চিত জানতে হলে ঘটনা ঘটার চারদিনের মধ্যে পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ১১ দিন পর পরীক্ষা হয়। ফলে তার কোনও মূল্যই নেই। কোভিড পরিস্থিতিতে টানা আড়াই মাস কাজ করেছি। হঠাত্ করে জানলাম আমাকে আর এখানে প্রয়োজন নেই।