কৃষিক্ষেত্রের সংস্কার সংক্রান্ত বিল নিয়ে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্যসভা। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশের সামনে গিয়ে রুল বুক ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। এই বিল তিনি ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে খবর। তবে এই হই–হট্টগোলের মধ্যে দিয়ে রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গেল কৃষিবিল। ভোটাভুটি হল না কৃষিবিল নিয়ে। এবার ওই বিল আইন হতে আর কোনও বাধা রইল না। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর হলেই আইন হয়ে যাবে এই বিল।
জানা গিয়েছে, ডেপুটি চেয়ারম্যানের মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূল সাংসদ। যদিও ডেরেকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সরকার রাজ্যসভা টিভি সেন্সর করেছিল এবং বিরোধীদের প্রতিবাদের ফুটেজটি কেটে দেওয়া হয়েছিল।’ রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ প্রতাপ সিং বাজোয়া জানান, চাষিদের জন্য মৃত্যু পরোয়ানায় সই করবে না কংগ্রেস। এরপরই বিক্ষোভের রাশ নিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। ছিঁড়ে ফেলেন বিলের প্রতিলিপি। সংসদের রুল বুক। কালা কানুন ওয়াপস লো স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল সাংসদরা।
এই প্রবল বিরোধী বিক্ষোভে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় রাজ্যসভার কাজ। এরপর দেড়টায় ফের অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধীরা পুরনো অবস্থানই নিতে থাকেন। ভোটাভুটি করতে বিরোধীদের শান্ত হতে বলেন প্যানেল চেয়ারপার্সন। কিন্তু বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখাতেই থাকেন। এরমধ্যেই ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় বিল। ডেরেক ভিডিও বার্তায় জানান, ১৩–১৪টি বিরোধী দল প্রতিবাদ জানায়। তাদের কণ্ঠরোধ করতে যাবতীয় পদক্ষেপ করেছে বিজেপি। ওরা সংসদের সব নিয়মকে হত্যা করছে। জঘন্যতম হিসেবে এটা রাজ্যসভার ঐতিহাসিক একটা দিন। দেশের মানুষ যাতে সেই ঘটনা দেখতে না পারেন, তাই রাজ্যসভা টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
