জেলা

১ জুলাই দিঘার সমুদ্রে অপারেশন হিলসা

বর্ষা তো বঙ্গে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু পাতে রূপোলি ফসল কি?‌ হ্যাঁ, মাছের রাজা ইলিশের কথাই এখানে বলা হচ্ছে। বাজারে সেভাবে ইলিশের জোগান নেই। দু’‌চারটে যা আসছে তা ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে। তার মধ্যে আবার দিঘা থেকে সমুদ্রে ১৫ জুন ইলিশ ধরতে যাওয়া স্থগিত হয়েছে। ফলে সেখানেও বেড়েছে হতাশা। এবার ট্রলার মালিকের একাংশ গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ে আগামী ১ জুলাই সমুদ্রে মাছ ধরতে পাড়ি দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রলার মালিক এবং মৎস্যজীবীরা। অনেকেই এটাকে অপারেশন হিলসা বলছে।
জানা গিয়েছে, দিঘা এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম মৎস্য আরোহণ কেন্দ্র। এখান থেকে সবচেয়ে বড় এবং উন্নত প্রযুক্তির ট্রলার ও ভাসানি নামক লঞ্চ গভীর সমুদ্রে বড় মাপের ইলিশ ধরতে পাড়ি দেয়। কারণ এখন খোকা ইলিশ ধরা আইনত দণ্ডনীয়। তাই প্রায় ১০০–১২০ নটিক্যাল মাইল সমুদ্র গভীরে ঢুকে ইলিশ ধরে আনতে সক্ষম এই সব ভাসানি বা ট্রলার। এই ভাসানি বা ট্রলার যতক্ষণ না বেরোতে পারছে ততদিন রাজ্যের বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে দিঘার বড় মাপের সুস্বাদু রুপোলি ইলিশের জোগান বাড়বে না।
এই ট্রলার বা ভাসানি দিঘা এলাকায় প্রায় দেড় হাজার রয়েছে। কিন্তু আশঙ্কার কথা হল, এই বছর লকডাউন, আমফান সব মিলিয়ে জাল সারানো থেকে ট্রলার মেরামতিতে গুছিয়ে উঠতে পারেনি। তার ওপর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিজেলের দরও। জ্বালানি তেলের ভর্তুকির দাবিতে সোচ্চারও হয়েছেন ট্রলার মালিকরা। তারা চাইছে ৩০ শতাংশ সাবসিটি দেওয়া হোক ডিজেলে।