দীর্ঘ ২০ বছর পরে ঘোষিত হল শাস্তির রায়। সাজা পেয়ে হাসিনা হত্যার পরিকল্পনাকারীরা ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে। তবে সাজাপ্রাপ্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন। মামলায় ১৪ জঙ্গিকে প্রকাশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার আদালত।
জানা গিয়েছে, প্রায় দু’দশক আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুনের চেষ্টা করে ১৪ ইসলামি জঙ্গি। আর তাদেরই মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল বাংলাদেশের আদালত। গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ১৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ফাস্ট ট্র্যাক ট্রাইব্যুনাল–১–এর বিচারক আবু জাফর মহম্মদ কামরুজ্জামান।
সাজা ঘোষণার সময় তিনি বলেন, ‘এই ধরনের নৃশংস এবং ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তাই দোষীদের এই দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত।’ আদালত সূত্রে খবর, ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে কোনও বিধিনিষেধ থাকলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। আসামিদের ক্ষমার বিষয়ে বিচরক বলেন, হুজি ও জেএমবির মতো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া প্রয়োজন। তাই তারা ক্ষমা পেতে পারে না। দণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামির মধ্যে ৯ জন কারাগারে, বাকি ৫ জন পলাতক।
