মহারাষ্ট্রে বন্যা ও ধসের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এবার আরও একজনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১৩। এখনও পর্যন্ত ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৫০। রাজ্য সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে রত্নগিরির বন্যা বিধ্বস্ত চিপলুন এলাকা ঘুরে দেখেন। রাজ্যের মধ্যে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এলাকার লোকেরা মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় থামিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা বলেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং দোকানদারদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। রাজ্যের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার পশ্চিম মহারাষ্ট্রে যাবেন উদ্ধব। বৃহস্পতিবার ধসে ক্ষতিগ্রস্ত রায়গড়ের তালিয়ে গ্রাম ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী নারায়ণ রানে। রানের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং রাজ্য বিধান পরিষদের বিরোধী দলনেতা প্রভীন দারেকর।
এই বিষয়ে রানে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে মহারাষ্ট্রে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সম্পর্কে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। বন্যা ও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে তৈরি করে দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে কোলাপুর, সাঙ্গলি, সাতারা ও পুনের ৮৭৫টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বর্ষণে মহারাষ্ট্র ও গোয়ায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। হিন্দিতে একাধিক ট্যুইট করে মায়াবতী লিখেছেন, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষত মহারাষ্ট্র ও গোয়ায় প্রাণহানি ও সম্পত্তি নষ্ট হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।
You must be logged in to post a comment.