আফগানিস্তানের হেলমন্দে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১১ তালিবান জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। জখম হয়েছে আরও অন্তত ৬ জঙ্গি। ফলে তালিবান জঙ্গি শিবির ঠলিয়ে দেওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। আফগান পুলিশের পক্ষ থেকে ১১ তালিবান নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। গোটা শহর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। কারণ প্রতিশোধ হিসাবে ফের আক্রমণ চালাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে নাদ আলি, ওয়াশির এবং সাংগিন জেলার চেক পয়েন্টে সশস্ত্র পুলিশের উপর অতর্কিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে তালিবানরা। পালটা পুলিশ গুলি চালাতে শুরু করলে দু’পক্ষের এনকাউন্টারে ১১ জন তালিবান জঙ্গি খতম হয়। সংঘর্ষে আফগান বাহিনীর কেউ হতাহত হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। তালিবানরাও এদিনের ঘটনা নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালেই দক্ষিণাঞ্চলীয় খোস্ত প্রদেশের ইয়াকুবি জেলায় বন্দুকবাজের অতর্কিত হামলায় ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অফ সিকিওরিটি চিফ নিহত হন। খোস্তের লোকাল পুলিশের আধিকারিকেরা এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্রে ডিরেক্টরের দুই বডিগার্ড জখম হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। কোনও সংগঠন এই হামলার দায় নেয়নি।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা পূর্ব পাকতিয়া প্রদেশে শনিবার বিস্ফোরণে দুই আফগান সীমান্তরক্ষী নিহত হন। রাস্তার ধারে বোমা রাখা ছিল। পুলিশের গাড়ি তাতে ধাক্কা মারলে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুই সীমান্তরক্ষী। বিস্ফোরণের এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকতিয়ার পাটান জেলার মকবালো উপত্যকায়। আফগান–পাকিস্তান সীমান্তের কাছেই। আফগান সেনার উপর তালিবানি হামলার পরপরই আকাশপথে জোড়া প্রত্যাঘাত করে মার্কিন সেনা। তালিবানদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর এই প্রথম মার্কিন বিমান হামলা চালানো হয়েছে তালিবান ঘাঁটি লক্ষ্য করে।