রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বুধবার বিধানসভায় এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘গত দু’বছর করোনা অতিমারির কারণে ডেঙ্গির প্রকোপ কিছুটা কমেছিল। কিন্তু চলতি বছরে ডেঙ্গির প্রকোপ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবে এখনও তা রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পুরসভার পাশাপাশি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে ডেঙ্গি মোকাবিলায় একজোটে কাজ করছেন। অন্যদিকে, এদিন দলের সমস্ত বিধায়ককে ডেঙ্গি মোকাবিলায় সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ডেঙ্গি প্রসঙ্গেও এদিন বিরোধীদের কড়া ভাষায় বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ডেঙ্গি সম্পর্কে সব তথ্য সরকারকে তুলে দেওয়া হয় না।
উল্লেখ্য, রাজ্যে ক্রমে ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করছে ডেঙ্গি। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ করে চলেছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এলাকায় চেতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করে বিজেপি। এরপর মঙ্গলবার ফের ডেঙ্গি ইস্যুতে বিধানসভায় বিক্ষোভ প্রদান করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। সেইসঙ্গে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে ফের একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনার দাবিতে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি। যদিও সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার। তারপরেই বিধানসভায় ওয়াক আউট শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
যদিও মঙ্গলবার ডেঙ্গি ইস্যুতে বিধানসভায় রাজ্য সরকারের বিবৃতি দাবি করেছিল বিজেপি। কিন্তু স্পিকার স্পষ্ট জানিয়ে দেন এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হবে না। এরপরেই ডেঙ্গি ইস্যুতে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখা শুরু করে বিজেপি। হাতে মশারি এবং প্ল্যাকান্ড নিয়ে বিধানসভা চত্ত্বরে প্রতিবাদ মিছিল করেন বিজেপি বিধায়করা।
বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, ডেঙ্গির পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় জবাব দিতে হবে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিতে না পারলে মন্ত্রিসভার অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হোক। এদিন বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি বিধানসভার গেটে মশারিও বিতরণ করে বিজেপি।