করোনায় মৃত্যুমিছিল, লকডাউন, দেশের অর্থনীতি তলানিতে, পরিযায়ী শ্রমিকদের হাহাকার থাকলেও নির্বাচনী অ্যাজেন্ডা পালন করা হচ্ছে। ভারতের রাজনীতির সঙ্গে আগাগোড়া জড়িয়ে গিয়েছে রামমন্দির নির্মাণ। অবশেষে গত বছর নভেম্বর মাসে সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে রামমন্দির নির্মাণে শিলমোহর পড়েছে। মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর জমি দেওয়া হয়েছে অন্যত্র।
এবার করোনাকে সঙ্গী করেই রামমন্দির নির্মাণের কাজে নামছে ট্রাস্ট। প্রথমে শিবের আরাধনা হবে। তারপর শুরু হবে রামমন্দির নির্মাণের কাজ। ১০ জুন সকাল ৮টা থেকে মহাদেব আরাধনা শুরু হবে শশাঙ্ক শেখর মন্দিরে। এই খবর প্রকাশিত হয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
জানা গিয়েছে, পুরাণে কথিত আছে সীতাকে লঙ্কায় রাবণের কাছ থেকে যুদ্ধ করে নিয়ে আসার আগে শিব পুজো করেছিলেন স্বয়ং রামচন্দ্র। এবারও রামলালার মন্দির নির্মাণের পূর্বে কৈলাশপতির আরাধনা হবে অযোধ্যায়। টানা ২ ঘন্টা আরাধনা শেষে শুরু হবে রামমন্দির নির্মাণ। ৯ নভেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ঘোষণার পর রাম মন্দিরের ট্রাস্ট নির্মাণের জন্য সময় ছিল তিন মাস।
উল্লেখ্য, দিল্লি নির্বাচনের তিনদিন আগে লোকসভায় সেই ট্রাস্ট গঠনের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকার পক্ষের সাংসদরা সেদিন জয় শ্রী রাম ধ্বনি তুলেছিলেন। ১০ জুন মন্দির নির্মাণের কাজ করবে এল অ্যান্ড টি সংস্থা। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে।
