আমফানের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিয়ে এক্ষুনি রাজ্যকে ১ হাজার কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। বসিরহাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে ২ লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। আর গুরুতর আহতদের ৫০,০০০ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে।
শুক্রবার আকাশপথে ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর বসিরহাটে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান, রাজ্য–কেন্দ্র দুর্গত মানুষদের পাশে রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ১ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ভাই–বোনদের বলছি, এই কঠিন সময়ে কেন্দ্র আপনাদের পাশে আছে।
তাঁরা আকাশপথে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁরা রাজারহাট, গোসাবা, মিনাখাঁ, হাসনাবাদ, কুলতুলি, ডায়মন্ড হারবার, সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জ–সহ বিভিন্ন এলাকায় আকাশপথে পরিদর্শন করেন। সাইক্লোন আমফান কতটা ক্ষতি করেছে তার খতিয়ে দেখতে একটি কেন্দ্রীয় দল আসবে। ত্রাণ ও পুনর্গঠনের দিকে নজর দেওয়া হবে বলে খবর।
বসিরহাট কলেজে হয় প্রশাসনিক বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর মে মাসে আমরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তখন ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছিল ওড়িশা। এক বছর বাদে ফের উপকূল অঞ্চল বিধ্বস্ত হল। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই ঘূর্ণিঝড়ে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা চাই পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে যাক।’ কোভিডের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আবার আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এমন এক অবস্থায় মমতাজির নেতৃত্ব রাজ্য সরকার ভালো কাজ করেছে। এই কঠিন সময়ে আমরা ওদের পাশে আছি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
