ঘূর্ণিঝড় আমফানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সাতক্ষীরায়। এই সাতক্ষীরাতেই প্রত্যেক বছরে নিয়ম করে আমের প্রচুর ফলন হয়। এই অঞ্চলের প্রায় সব বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে পড়ে। সকালে হেলিকপ্টারে সেনাবাহিনী পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালায়। জলোচ্ছ্বাসে চিংড়িঘর ভেসে গিয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড় ঘিরে যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল এবং যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে সিডর এবং ২০১৯ সালে বুলবুলের আঘাত থেকেও রক্ষা করেছিল সুন্দরবন। আর এবারও বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে আমফান।
সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মহম্মদ এনামুর রহমান বলেন, ‘ঘুর্ণিঝড় আমফানে বাংলাদেশের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে আমের ক্ষতি হয়েছে ১৫০ কোটি টাকার। ব্রিজ কালভার্টের সংখ্যা ২০০টি। ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১০০ কোটি টাকা।’ প্রায় অধিকাংশ আমই ঝড়ে গিয়েছে। তাই ত্রাণের সঙ্গে আমও দেওয়া হবে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের আম কেনার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় বাঁধ, ঘরবাড়ি সংস্কারে জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে কাজ শুরু হবে।
মৃত ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। পটুয়াখালির কলপাড়ায় সৈয়দ শাহ আলম (৫৪) নামে এক স্বেচ্ছাসেবী নৌকাডুবির কারণে মারা গিয়েছেন। গাছ চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন গলাচিপার পানপট্টির ৫ বছরের শিশু রাশেদ। মহম্মদ সিদ্দিকি ফকির (৭২), রফিকুল ইসলাম (৩৫) নিহত হয়েছেন। দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন পিরোজপুর মঠবাড়িয়ার শাহজাহান মোল্লা (৫৫) এবং সন্দীপ সালাউদ্দিন (১৬)। যশোরের চৌগাছায় ২ জন, সাতক্ষীরায় ১ জন এবং ঝিনাইদহে ১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
