লিড নিউজ

‘‌শুধু পাকিস্তান নয়, চীন সীমান্তও গুরুত্ব দিতে হবে’‌

ডোকা লা–তে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি যে আগ্রাসী ভূমিকা দেখিয়েছিল তাকে স্থানীয় গুন্ডাগিরি বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন তৎকালিন ইস্টার্ন কম্যান্ডের প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে। সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পেয়ে নতুন বছরে তিনি জানিয়ে দিলেন, এবার ঢেলে সাজানো হবে উত্তর–পূর্বে চার হাজার কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিরাপত্তা। যার অর্থ, চীনের নাক গলানো আর বরদাস্ত করা হবে না।
বুধবার দিল্লিতে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়ে সম্মানিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‌শুধু পাকিস্তান নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। উত্তর–পূর্বের চীন সীমান্তকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।’‌ দায়িত্ব পেয়েই পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তান গোলা ছুড়লে তাদেরও অভিযান চালানোর অধিকার আছে। সেনাকে সবরকমের প্রস্তুতি থাকারও বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেনাপ্রধানের কথায়, এতদিন পশ্চিম সীমান্তকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছি আমরা। উত্তর সীমান্তের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। উত্তর–পূর্ব সীমান্তেও সামরিক ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশে একাধিকবার চীনের লাল ফৌজ অনুপ্রবেশ করেছে। শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও। কোথাও কূটনীতির আশ্রয় নিয়ে সীমান্ত বিতর্কের রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে ভারত। ২০১৭ সালে ডোকা লায় টানা ৭২ দিন ধরে চলা টানাপোড়েনই তার প্রমাণ। সেনাপ্রধান জানান, চীনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা রয়েছে আমাদের। তাই সীমান্ত বিরোধের একটা নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখলেই বিরোধের স্থায়ী সুরাহা হবে বলে নিশ্চিত আমি।