বনগাঁয় জনসভায় মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্পষ্ট করে জেনে নিন মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপি মিথ্যে বলছে। তারপর উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, ধরুন মুকুল বৈরাগ্যকে (মতুয়া) নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়া হল। কিন্তু আপনাকে বলতে হবে পাঁচ বছর এই দেশে নাগরিক ছিলাম না। তখনই আপনাকে বিদেশি বলে গণ্য করা হবে। এই দেশের নাগরিক না হলে জমি, ছেলেমেয়ের পড়াশুনা, চাকরি থাকবে না। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই চালাতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমরা শুধু ভোটের সময় নিজেদের চৌকিদার বলি না। সব সময় পাশে থাকি। আমি অ্যাকশন নেওয়া ছাড়া কথা বলি না।’ প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে তাঁর কটাক্ষ, ভোটের আগে বড়মাকে দেখেতে চলে এলো। যেন কত ভালবাসে! আসলে ভোটকে ভালবাসে। ৩০ বছর ধরে একবারও খোঁজ নিয়েছে? লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোট সেভাবে পায়নি তৃণমূল। মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসিয়েছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ২২টি ওয়ার্ডে ২১টি পিছিয়ে তৃণমূল।
সিএএ, এনআরসি বা এনপিআর তিনি বেঁচে থাকাকালীন কিছুতেই রাজ্যে হতে দেবেন না বলেও এদিন ফের স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির বিরুদ্ধে মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ এনে তাঁর মন্তব্য, ‘মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বিজেপি। আমরা উদ্বাস্তুদের জন্য নিঃশর্তে দলিলের ব্যবস্থা করেছি। হিন্দু, মুসলিম, মতুয়া, নমঃশূদ্র, সবাইকে সাহায্য করেছি।’ মমতার কথায়, রেশন কার্ড আছে, আপনি নাগরিক। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের উপরও ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘যদি স্থানীয় নেতাদের ভরসা করতে না পারেন, করবেন না। লোকাল লিডার দিয়ে দল চলে না। দলটা চালাই আমরা।’