বাংলাদেশ ব্রেকিং নিউজ

‘‌নাগরিকত্ব আইন অপ্রয়োজনীয়’‌

এবার স্বয়ং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন নিয়ে বললেন, ‘‌আমি বুঝতে পারছি না, কেন এটা করা হল। এটার কোনও প্রয়োজন ছিল না।’‌ আবু ধাবির একটি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত সরকারের সিএএ চালু করা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার বলেন, ‘‌বাংলাদেশ সবসময়ই মনে করেছে সিএএ এবং এনআরসি দুটোই ভারতের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকার তাদের পক্ষ থেকে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ব্যক্তিগতভাবে আমাকে গত অক্টোবর মাসে আমার ভারত সফরের সময় বারবার আশ্বস্ত করেছে যে এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া। কিন্তু ভারতে যদি অনিশ্চয়তার আবহ তৈরি হয়, সেটা তার প্রতিবেশী দেশে প্রভাব ফেলবেই।’‌
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য ভারত–বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী, অমুসলিম যে শরণার্থীরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। এই আইনকে বিদ্বেষমূলক বলে পথে নেমেছেন রাজনীতিক থেকে সাধারণ মানুষ। অশান্তি, বিক্ষোভে প্রাণ গিয়েছে অনেকের।
বাংলাদেশের ১৬০ মিলিয়ন জনসখ্যার মধ্যে ১০.‌৭ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বি হলেও ভারত থেকে বাংলাদেশে সরকারিভাবে কোনও দেশান্তর হওয়ার ঘটনা ঘটেনি বলে স্পষ্ট করলেও ভারতে যে মানুষরা বহু সমস্যায় পড়েছেন সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি মনে করেন, নাগরিকত্ব আইন সংশোধন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও তার কোনও প্রয়োজন ছিল না। আমি বুঝতে পারছি না, কেন এটা করা হল।’‌
বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিপীড়ণের শিকার বলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে দাবি করেছিলেন, তার বিরুদ্ধে সরব হয় প্রতিবেশ দেশটি। তাই ১২ ডিসেম্বরের ভারত সফর আচমকা বাতিল করে দেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। আর এবার মুখ খুললেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।