লিড নিউজ

‘‌নতুন রাজনীতির জন্ম দিল দিল্লিবাসী’‌

কেজরিওয়ালের ঝাড়ুতে সাফ বিজেপি। এটাই এখন দিল্লির ছবি। তাই জয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া, ‘‌এটা ভারত মাতার জয়।’‌ এই স্লোগানে তখন মুখরিত গোটা দিল্লি। এটাই যেন যোগ্য জবাব। যা দিল্লিবাসীর পক্ষ থেকে মোদী–শাহকে দেওয়া হল। বিভাজনের রাজনীতিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন দিল্লিবাসী। ধর্মের নামে নয়, কাজ দেখে ভোট দিয়েছেন তাঁরা। বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর এই ভাষাতেই দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দেখা গেল, স্ত্রী এবং সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মানুষের মুখোমুখি হয়ে স্লোগান দিলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসতে চলা কেজরিওয়াল শুধু ‘‌‌ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানই নয়, দিলেন ‘‌ইনকিলাব জিন্দাবাদ’‌ স্লোগানও। উন্নয়নের নিরিখে ভোটবাক্স জিতে খড়গপুর আইআইটি–র প্রাক্তনীর মন্তব্য, ‘‌দিল্লির মানুষ আজ এক নতুন রাজনীতির জন্ম দিয়েছেন, যার নাম কাজের রাজনীতি। এই জয় মানুষের জয়। কাজে বিশ্বাস রেখে ভোট দিয়েছেন সকলে। নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনা করেছেন।’‌
বুথ ফেরত সমীক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়েই দিল্লির ক্ষমতা দখলের পথে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বেলা যত বেড়েছে ততই আধিপত্য বেড়েছে আপের। তারপর গত পাঁচ বছর যেভাবে দিল্লির উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন, আগামী পাঁচ বছরও সেটাই করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন কেজরিওয়াল। আসলে শেষ ট্রেন্ডে দেখা গিয়েছিল ৬৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে আপ। আর বিজেপি ৭।
উল্লেখ্য, ভোটের আগের দিন দিল্লিতে হনুমান মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কেজরিওয়ালকে ঠুকে দিল্লি বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি বলেছিলেন, কেজরিওয়ালের ছোঁয়ায় হনুমানজির মূর্তি অপবিত্র হয়ে গিয়েছে। তাই সেটাকে ভাল করে ধুতে পুরোহিতকে নির্দেশ দেন তিনি। এদিন সেই ঘটনাকে উল্লেখ করে নাম না করে বিজেপিকে ঠুকে কেজরিওয়ালের খোঁচা, হনুমানজিকে অনেক ধন্যবাদ। প্রভুজিকে ধন্যবাদ। ‌আগামী পাঁচ বছর ওনারা আমাদের পথ দেখাক। দিল্লিতে পবনপুত্রের আশির্বাদ ঝরে পড়ুক।