সমাজে বাড়ছে হিংসা, অসন্তোষ আর ক্ষোভ। তার জেরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগার পক্ষে যথেষ্ট। আহমেদাবাদে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই আশঙ্কার কথা শোনালেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘পৃথিবী শেষ হয়ে আসছে। আর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মেঘ ঘনাচ্ছে। সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। কারখানার মালিক এবং শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত। নিয়োগকারী আর কর্মচারীরা ক্ষিপ্ত। সরকার এবং আমজনতা ক্ষিপ্ত। ছাত্র এবং শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত। সবাই অসন্তুষ্ট এবং অখুশি।’ এই মন্তব্য কী কেন্দ্রকে বার্তা দেওয়ার জন্য করলেন তিনি? জাতীয় রাজনীতিতে এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ সবাই সরকারের পক্ষেও ক্ষুব্ধ।
সারা বিশ্বে বেড়ে চলা হিংসা, সন্ত্রাসবাদ আর অসন্তোষ মেটাতে এবং মানুষের রোবোটের মতো হয়ে যাওয়া রুখতে তিনি জানান, ভারতকেই এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বকে জ্ঞান এবং ধর্মের বাণী শেখাতে। তাঁর ক্ষোভ, ভারতীয় যুবসমাজ ভারতের জ্ঞানের মহিমাকে অবহেলা করে এবং ভারতের যা কিছু ভালো তা বিদেশ থেকেই আমদানি করা হচ্ছে।
জীবনধারার সমালোচনা করে ভাগবত বলেন, ‘আমরা বলি আজ উন্নততর সমাজে বাস করছি। ১০০ বছর আগেও যেসব সুযোগসুবিধা ছিল না তা এখন মানুষের সাধ্যের মধ্যে। কিন্তু আমরা ভালো সমাজে বেঁচে আছি এটা ভাবা অর্ধ সত্য। সুযোগ–সুবিধা সমভাবে বণ্টন করা হচ্ছে না। জঙ্গলরাজ কায়েম হয়ে রয়েছে। যে সমর্থ সে দুর্বলকে পিষে উপরে উঠে যাচ্ছে। জ্ঞানের শক্তি ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।’ রাশিয়া, চীন এবং আমেরিকার মতো শক্তিধর রাষ্ট্রগুলি অন্য ছোট দেশগুলিকে নিজের মতো নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক ভাল। এমনকী চলতি মাসেই ডোনাল্ড ট্রাম্প আসছেন ভারত সফরে। তার আগেই ভাগবতের এমন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
