জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেইন) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে গুজরাটি ছাড়া অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাগুলি কেন ব্রাত্য? এই নিয়েই তৃণমূল ভবনে অন্যান্য সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ভাষাতেও চালু করতে হবে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রশ্নপত্র। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে দলের সাংগঠনিক পর্যালোচনা বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবিই তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, ‘অন্য ভাষাতেও জয়েন্টের প্রশ্নপত্র হওয়া উচিত। আমার গুজরাটি ভাষায় কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলা বা অন্যান্য ভাষাগুলি ব্রাত্য থাকবে কেন? বাংলা–সহ অন্যান্য ভাষাতেও চালু করতে হবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স।’ ছাত্রছাত্রীরা অন্যান্য ভাষা শিখছে সেটা তো আনন্দের কথা। কিন্তু বাংলাতেও হোক জয়েন্টের প্রশ্নপত্র। কারণ সবাই তো ইংরেজি জানে না।’ একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, মারাঠি বা অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাতেও জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রশ্নপত্র কেন তৈরি করা হবে না?
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১১ নভেম্বর রাজ্যজুড়ে বাংলা এবং অন্যান্য ভাষাতেও জয়েন্ট এন্ট্রান্স চালু করার দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হবে। ভাষা বৈষ্যম্যের প্রতিবাদেই হবে কর্মসূচি। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে অমিত শাহ–র ‘এক দেশ, এক ভাষা’, তত্ত্বে হিন্দিকে জাতীয় ভাষা করার ইঙ্গিতে তেতে উঠেছিল দক্ষিণ ভারত। শুধু এনডিএ বিরোধীরাই নয়, দক্ষিণ ভারতের এনডিএ শরিক দলগুলিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের চরম বিরোধিতা করে। চাপে পড়ে ঢোঁক গিলতে বাধ্য হন অমিত শাহ।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে তৈরি হওয়া ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) নির্দেশিকা নিয়ে দু’দিন আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হওয়া প্রবল বিতর্কের মধ্যেই তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সমাধান না হলে ব্যাপক প্রতিবাদ হবে। বৃহস্পতিবার সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘তামিলনাড়ুতেও আপনারা জানেন ভাষা বিক্ষোভ হয়েছিল। আমাদের দেশে বহু রাজ্য। বহু আঞ্চলিক ভাষা আছে। কিন্তু আমরা সবাই এক। একতাই আমাদের শক্তি। দিনের শেষে একত্র ভারতই শেষ কথা।’ সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশেন সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।