কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে তৃণমূল ভাঙানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপিতে যোগ না-দিলে জেলে ভরার ভয় দেখাচ্ছে তারা। আমি জেলে যেতে রাজি আছি, কিন্তু বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মেনে নিতে রাজি নই। আর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা লভ্যাংশ হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই এর কাছে গচ্ছিত থাকা সোনাও চলে যাচ্ছে। এরপর দেশ কোনও বড় বিপদে পড়লে কে সামলাবে? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নাম না করে মুকুল রায়ের মন্ত্যের পাল্টা দিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘বলে ১০৭ জন বিধায়কের নাম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আগে ৭ জনের নাম বের কর। এত সস্তা না। আমরা বাংলায় লড়াই করি। তাই ওদের বাংলা চাই। আজ আমার ভাইকে ডেকেছে। কাল আমাকে ডাকবে। আমি জেলে যেতে রাজি আছি। কিন্তু বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মানতে রাজি নই। জেলে গেলে ভাবব স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। দেশ পরাধীন হয়ে গিয়েছে।’
বুধবার মেয়ো রোডের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে তিনি দাবি করেন, দেশ ইমার্জেন্সির দিকে যাচ্ছে। ওয়ান ইলেকশন, ওয়ান লিডার, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি, ওয়ান ইমার্জেন্সি। দেশ দখল করবে বলে কিনে নিচ্ছে সব রাজনৈতিক দলকে টাকা দিয়ে। দুটো বছর দিন আমাকে, আমি রাজ্যের মানুষকে আরও ৫০ বছর দেব অঙ্গিকার করছি।
একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ১৫ নভেম্বর বেলা ১টায় সব কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র সংসদের সদস্যদের নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে একটা আলোচনাসভা করবেন। সব বিশ্ববিদ্যালয়–কলেজের শিক্ষকরা থাকবেন। তার মধ্যে বেছে ছাত্রছাত্রীদের থেকে নেতৃত্ব তুলে আনা হবে। যারা মানুষের পাশে দাঁড়াবে।