দেশ

‘‌কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত গুন্ডাগিরি’‌

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা হাড়হিম করে দেয়। পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের উপর এই হামলা সাংঘাতিক –অপ্রত্যাশিত। এই ভাষাতেই দুষ্কৃতী তাণ্ডবের বর্ণনা করে বিজেপিকে একহাত নিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তাঁর কথায়, দেশের যুবসমাজের কণ্ঠ প্রত্যেকদিন মোদী সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় গুন্ডাদের দিয়ে রুদ্ধ করা হচ্ছে। যা মেনে নেওয়া যায় না।
সোমবার সোনিয়া গান্ধী জানান, দেশজুড়ে রোজ ক্যাম্পাস এবং কলেজগুলিতে হানা দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি সরকারের সাহায্য নিয়ে হয় পুলিশ নয়তো দুষ্কৃতীরা হানা দিচ্ছে। এই ঘটনার আগে নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থামাতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের প্রসঙ্গ তোলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। জেএনইউ–র ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকদের উপর হাড়হিম করা হামলা মনে করিয়ে দিল, প্রতিটি কণ্ঠ যা তাদের বিরুদ্ধে উঠবে তাকে পিষে ফেলতে শেষ সীমা পর্যন্ত যাবে সরকার। মোদী সরকারের সক্রিয় প্ররোচনায় ভারতের যুবাদের উপর দুষ্কৃতীদের ভয়ঙ্কর হামলা একেবারেই প্রত্যাশিত নয়।
মুখোশ–পরা দুষ্কৃতীদের এভাবেই হামলায় রক্তাক্ত হল দিল্লির জেএনইউ বলে মনে করেন তিনি৷ দেশের সব ছাত্রছাত্রীদের পাশে আছে কংগ্রেস। ছাত্রছাত্রীদের ভাল শিক্ষা বা কর্মসংস্থান দেওয়ার বদলে তাদের মারধর করছে কেন্দ্রীয় সরকার, যা দেশের জন্য কাম্য নয় বলে মনে করেন সোনিয়া। যেভাবে ছাত্রছাত্রীদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে সেটা ১৯৩৩ সালে নাৎসি জার্মানিকে মনে পড়াচ্ছে।